School Students: মিড ডে মিলের রাঁধুনি আসেন, চা খেয়ে বাড়ি চলে যান, ঘোষপাড়া স্কুলের গেটটা কি আর কখনও খুলবে!

School Students: সদ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে সেই শিক্ষাকর্মীরও। তিনিও আর স্কুলে যাচ্ছেন না। ফলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন অভিভাবকরা।

School Students: মিড ডে মিলের রাঁধুনি আসেন, চা খেয়ে বাড়ি চলে যান, ঘোষপাড়া স্কুলের গেটটা কি আর কখনও খুলবে!
ঘোষপাড়া হাইস্কুলImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 17, 2025 | 7:51 PM

ধূপগুড়ি: আর বাজবে না ঘণ্টা। ব্ল্যাক বোর্ডে আর পড়বে না চকের আঁচড়। আর শোনা যাবে না পড়ুয়াদের কোলাহল! শিক্ষক ছিল না, শিক্ষাকর্মীরও চাকরি গিয়েছে। এবার একে একে চলে গেল পড়ুয়ারাও। রইল না কিছুই। ফাঁকা স্কুলে যাচ্ছেন শুধু মিড ডে মিলের রাঁধুনি।

শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়াদের ওই স্কুল থেকে সরিয়ে অন্য স্কুলে নিয়ে গিয়েছেন অভিভাবকরা। ধূপগুড়ির ঘোষপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল থেকে পড়ুয়াদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্কুলে ছিলেন একজন মাত্র শিক্ষক, আর একজন শিক্ষাকর্মী। মাসখানেক আগে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় শিক্ষকের। এরপর স্কুলের সব দায়িত্ব ছিল ওই শিক্ষাকর্মীর হাতেই। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই করছিলেন তিনি।

সদ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে সেই শিক্ষাকর্মীরও। তিনিও আর স্কুলে যাচ্ছেন না। ফলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন অভিভাবকরা। শিক্ষক নেই, শিক্ষাকর্মী নেই, স্কুল চলবে কী করে!

TV9 বাংলায় সেই খবর প্রকাশ হওয়ার পর সপ্তাহ খানেক আগে স্কুলের তালা খুলতে মৌখিকভাবে এক শিক্ষিকাকে পাঠানো হয়। তাতেও ভরসা পাননি অভিভাবকরা। তাই স্কুল থেকে একে একে সব পড়ুয়াকে ছাড়িয়ে অন্য স্কুলে র ভর্তি করিয়েছেন অভিভাবকরা।

কী হবে এই স্কুলের ভবিষ্যৎ! তা নিয়ে চিন্তায় স্কুলে মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা রাঁধুনি। কারণ, স্কুল বন্ধ হলে তো তিনিও কাজ হারাবেন! ছাত্র যখন নেই, তখন মিড ডে মিল রান্নাও হবে না আর। বর্তমানে মিড ডে মিলের ওই রাঁধুনি স্কুলে যাচ্ছেন, চা বানিয়ে খাচ্ছেন, আবার বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এখন শিক্ষা দফতর ওই স্কুল নিয়ে কী পদক্ষেপ করে, সেটাই দেখার।