
মালবাজার: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ভুটানের পাহাড়ে টানা বৃষ্টির ফলে জলঢাকা, গাঠিয়া ও ডায়না নদীর জল নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা ও টুন্ডু এলাকায় ঢুকে পড়ে। জলের স্রোতে ভেসে যাওয়ায় বুধবার পর্যন্ত বামনডাঙ্গা এলাকা থেকে ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। টুন্ডু এলাকা থেকে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, মৃতদেহটি এক মহিলার। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। একই সঙ্গে নাগরাকাটা গাঠিয়া নদীর টানাটানি সেতু সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এখনো বামনডাঙ্গা এলাকায় দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নাগরাকাটা থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টুন্ডু এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি রমিশা খাতুনের।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্যার রাতে লোকসান এলাকা থেকেও জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকজন। নিখোঁজদের মধ্যে ছিলেন আমিনা খাতুন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি তারই। পরিবারকে খবর জানানো হয়েছে। তবে সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক। প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার ও ত্রাণকাজে নেমেছেন।
বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার এখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। পরিস্থিতি মোকাবিলা, স্বাভাবিক অবস্থার পুনরুদ্ধার, দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। মৃতদের পরিবার পিছু এক জনকে পুলিশে, হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের উচ্চতার ক্ষেত্রেও বেশ কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে জানিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্য়েই সেই নামের তালিকা তৈরি করছেন জেলাশাসক। তবে এই দুর্যোগে ভুটান থেকে দেহ ভেসে বাংলায় চলে এসেছে। সেই দেহ উদ্ধার করে সেই রাজ্যের সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তা শনাক্তকরণের কাজ চলছে।