Dhupguri News: ‘ভারত কেমন দেখতে এসেছিলাম, তারপর থেকে গেছি’, নিজেই বললেন বাংলাদেশি

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের রংপুর থেকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে আসেন। এরপর থেকে তিনি এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। অভিযোগ,দালালের মাধ্যমে সাড়ে নয় হাজার টাকার বিনিময়ে ধূপগুড়ির মাগুরমারী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা চিনিরাম রায়কে ‘বাবা’দেখিয়ে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন তিনি।

Dhupguri News: ভারত কেমন দেখতে এসেছিলাম, তারপর থেকে গেছি, নিজেই বললেন বাংলাদেশি
অভিযুক্ত বাংলাদেশিImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 02, 2025 | 5:05 PM

ধূপগুড়ি: বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ঢুকেছিলেন ভারতে । তারপর এখানেই এসে থাকতে শুরু করেন। এসআইআর (SIR) আবহে এনুমারেশন ফর্ম নিতে এসেছিলেন তিনি। তবে গ্রামবাসীরা বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে নিজেই স্বীকার করে নেন সবটা। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের রংপুর থেকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে আসেন। এরপর থেকে তিনি এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। অভিযোগ,দালালের মাধ্যমে সাড়ে নয় হাজার টাকার বিনিময়ে ধূপগুড়ির মাগুরমারী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা চিনিরাম রায়কে ‘বাবা’দেখিয়ে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন তিনি। এমনকী, একবার ভোট দিয়েছেন বলেও নিজেই দাবি করেছেন।

এরপর SIR আবহে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া শুরু হয়। নিজের ভোটার কার্ডে উল্লেখিত ‘বাবার বাড়িতে’ অর্থাৎ পশ্চিম মল্লিকপাড়ার চিনিরাম রায়ের বাড়িতে ফর্ম নিতে যান শ্যামল । এ সময়ই গ্রামবাসীরা তাঁকে বাধা দেন। প্রশ্ন তোলেন তিনি কে ও কোথা থেকে এসেছেন। দীর্ঘক্ষণ বচসার পর শ্যামল রায় স্বীকার করেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে এসেছিলেন। আর দেশে ফেরেননি। দালালের সাহায্যে ভুয়ো পরিচয় বানিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন। শ্যামল বলেন, “২০১০ এ এসেছিলাম। ওই সময় ভারত দেখতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ থেকে বলত ভারত হিন্দু রাষ্ট্র। সেই কারণে দেখতে এসেছিলাম। আমি ২০১৮ সালে এখানকার ঠিকানা দিয়ে পরিচয় পত্র বানিয়েছিলাম। আমার ভোটার কার্ডে এখানকার ঠিকানা আছে। আমি দালালের মাধ্যেমে সাড়ে ৯ হাজার টাকা দিয়ে পরিচয়-পত্র বানিয়েছিলাম।”

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রামবাসীরা জানান, “এই ব্যক্তি কোনওদিনই এই এলাকার বাসিন্দা নন। তাঁকে এই এলাকায় কখনও দেখা যায়নি। বাংলাদেশ থেকে এসে দালালের মাধ্যমে বাবা-মা বানিয়ে ভোটার কার্ড তৈরি করেছে।” এনুমেরেশন ফর্ম চিনিরাম রায়ের বাড়িতে পৌঁছতেই গোটা ঘটনা সামনে আসে।” ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ করে তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।