জলপাইগুড়ি: বাড়ির ভিতরই চলত বেআইনি কাজ। পরে পুলিশের কানে পৌঁছতেই করা হল পদক্ষেপ। বাড়িতে নেশার ওষুধ মজুত করার অভিযোগে আটক এক। ওষুধ সরবরাহ করার অভিযোগে আটক আরও এক ওষুধের দোকানের কর্মী। জোড়া আটকে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ অভিযান চালাল শনিবার। এ দিন দুপুর নাগাদ নেশার ওষুধ সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম রামগোপাল রায়। তাঁকে ময়নাগুড়ি বাস টার্মিনাস থেকে শনিবার আটক করে পুলিশ। রামগোপালবাবুকেই জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বাড়ি গিয়ে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নেশার ওষুধ।
ময়নাগুড়ি থানা সূত্রে খবর, আটক ব্যক্তিদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কোথা থেকে এই নেশার ওষুধ তারা কিনত এবং তা কোথায় বিক্রি হতো তা জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে, অভিযুক্তের স্ত্রী ফুলতি রায় জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী সারাক্ষণ নেশা করে থাকেন। তিনি আর ছেলে মিলে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনও রকম ভাবে সংসার চলে। তিনি চান তার স্বামী নেশা করা বন্ধ করুক। সুস্থ হয়ে যান।
ময়নাগুড়ি থানার আই সি তমাল দাস জানিয়েছেন দুজনকে আটক করা হয়েছে। কিছু ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বস্তুত, গতকাল জলপাইগুড়িতেই পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হয় তিনজন। পর্যটক সেজে এক মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ধৃত তিনজনই ত্রিপুরার বাসিন্দা। তাঁদেরকে গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
জানা গিয়েছে, বোলেরো গাড়িটিতে নকল নম্বর প্লেট লাগান ছিল। তারপর লুকিয়ে সেটি শিলিগুড়িতে পাচারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩১ নং জাতীয় সড়কের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকা থেকে গাঁজা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃতদের রবিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘পুলিশের থেকে রিপোর্ট এসেছিল আপনি যান তদন্ত করে দেখুন। তারপর আমরা ঘটনাস্থলে যাই গিয়ে দেখি একটি সিটের নিচে গাঁজা ছিল।’