Died 3: অশৌচ বাড়িতে জিনিস দিতে যাচ্ছিলেন, মাঝপথে গাড়ি উল্টে নিহত ৩
Dhupguri: রবিবার একটি ছোট গাড়িতে চেপে ৫ জন গ্যাংটকের তাদং থেকে বীরপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল ওই পরিবার। সেই বাড়িতে একজন মারা গিয়েছেন। অন্ত্যেষ্টির কাজের জিনিসপত্র দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথেই গাড়ি উল্টে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
নাগরাকাটা: গাড়ির গতি ছিল বেশি। এদিকে সামনে চলে আসে বাইক-টোটো। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এরপরই গাড়ির ছ’পাল্টি খেয়ে একেবারে পথের ধারে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটার ধরণীপুর চা বাগানের সামনে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোট পাঁচজন ছিলেন গাড়িতে। তিনজন মহিলা, দু’জন পুরুষ। তিনজন মহিলাই মারা গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে গাড়ির চালকের দাবি, গাড়িতে একটি শিশুও ছিল। তার কোনও খোঁজ নেই। সকলেই সিকিমের গ্যাংটকের বাসিন্দা।
আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় সুলকাপাড়া ও মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। একজনের নাম ভানুভক্ত যোগী অন্যজন শচিন কার্কি। চালকের আসনে ছিলেন ভানুভক্ত। তাঁর স্ত্রী ময়না ছেত্রী মারা গিয়েছেন। ধূপগুড়ির বাসিন্দা হাসিবুর রহমান এখানে বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। হাসিবুর বলেন, “গাড়িটা দেখলাম সিকিমের নম্বরে। সিকিমের দিক দিয়ে আসছিল। গাড়িটা একদিকে টাল খেয়ে যায়। এভাবেই অনেকটা রাস্তা আসে। ৫ জন ছিল গাড়িতে। ৩ জন মহিলা ছিলেন। একটা বাচ্চাও ছিল। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ২ জন মারা গিয়েছে।”
জীবন খারকো নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “সিকিমের দিক দিয়ে গাড়িটা আসছিল। আমরা নাগরাকাটায় ওদের খেতে দেখলাম। বাইক আর টোটো যাচ্ছিল দু’টো। ওদের বাঁচাতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। গাড়িটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর পাঁচ ছয় পাল্টি খায়। তিনজন মারা গিয়েছেন দেখে মনে হল। গাড়ির চালক বলছিলেন একটা বাচ্চাও ছিল গাড়িতে। তবে বাচ্চাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
জানা গিয়েছে, রবিবার একটি ছোট গাড়িতে চেপে ৫ জন গ্যাংটকের তাদং থেকে বীরপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল ওই পরিবার। সেই বাড়িতে একজন মারা গিয়েছেন। অন্ত্যেষ্টির কাজের জিনিসপত্র দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথেই গাড়ি উল্টে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি রাস্তায় ধারে উল্টে পড়ে ছিল। এলাকার লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও।