ধূপগুড়ি: ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কলকাতার পর্যটকরা। মৃত্যু হয় এক মহিলারও। নাম প্রতিমা দে। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির গাড়ির সঙ্গে একটি ছোট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় রবিবার। দুর্ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার বিকালে লাটাগুড়ি থেকে একটি জিপসি গাড়ি পর্যটকদের নিয়ে যাত্রাপ্রসাদে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দু’টি গাড়ির বেশ কয়েকজন আহত হন। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
গরুমারার জঙ্গলে জিপ সাফারির জন্য এই গাড়ি বুক করা হয়। মূলত লাটাগুড়ি থেকে সেগুলির বুকিং হয়। সেই গাড়িতেই গরুমারা, চাপড়ামারি বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যায়। শুধুমাত্র জঙ্গল সাফারির জন্যই এই গাড়িগুলির বুকিং হয়। জঙ্গলের রেজিস্টার্ড গাড়ি এগুলি। গাড়িগুলির সঙ্গে একজন গাইডও দেওয়া হয়। এরপরই পর্যটক নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢোকে গাড়ি।
আহতদের তালিকায় আছেন কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা মাধবী মল্লিক (৭০), মীরা মল্লিক (৬৫)। এছাড়াও আছেন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সুমিতা দত্ত (৬৩)। তাঁর সঙ্গেই গিয়েছিলেন প্রতিমা দে (৬৩)। প্রতিমাদেবী মারা যান। বাড়িতে খবর পৌঁছতেই উদ্বেগে পরিবারের লোকজন।