
জলপাইগুড়ি: পহেলগাঁও হামলার পর ট্রেনেগুলির যাত্রী নিরাপত্তায় আরও কড়া রেলপুলিশ। দিনে ও রাতে ট্রেনগুলিতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। কোনও সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তৎক্ষনাত RPF-কে জানাতে অনুরোধ জানিয়ে সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে। স্টেশনে এবং ট্রেনের ভেতর ঢুকে মাইকিং করছেন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন RPF-এর আধিকারিকরা।
একদিকে বাংলাদেশ ও অন্যদিকে পাকিস্তান! এই দুই দেশ কার্যত তিতিবিরক্ত করছে ভারতকে। একদিকে পাকিস্তান ভারতের প্রত্যাঘাতের দিন গুনছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিগত কয়েকমাস সুমধুর যাচ্ছে না। সেই কারণে, সীমান্ত সুরক্ষায় আরও জোর দিয়েছে বিএসএফ। পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা,অসম এই পাঁচটি রাজ্যের সীমান্তে রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার। তাই সীমান্ত এলাকায় যেখান দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন যাতায়াত করে, সুরক্ষার স্বার্থে সেই ট্রেনগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেই কারণে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে শুরু করে চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় থাকা তিস্তা সেতু,রেল ট্র্যাক সহ ট্রেন ও অন্যান্য গুলিতে চলছে চিরুনি তল্লাশী। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন, ময়নাগুড়ি স্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে টহল। নামানো হয়েছে স্নিফার ডগ। BSF-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়,ননী গোপাল সরকার নামে ট্রেন যাত্রীরা জানালেন, “আগের থেকে অনেক নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দেখে আমরাও অনেকটা আশ্বাস হচ্ছি।” অপরদিকে, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের RPF ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্ত বলেন, “উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির নিরিখে বাড়তি নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকার রেল স্টেশন ও সেতুগুলিতে বাড়তি টহল চলছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিশেষ তৎপর আমরা।”