ধূপগুড়ি: নাপিতের ভূমিকা স্কুল শিক্ষক! রীতিমতো কাঁচি হাতে চুল কাটলেন ছাত্রদের (Students)। শুনতে অবাক লাগলেও, ঘটনাটি সত্যি। বৃহস্পতিবার এমনই ছবি দেখা গেল ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি হাই স্কুলে। কিন্তু কেন এই ভূমিকা শিক্ষকের? হঠাৎ বই খাতা ছেড়ে কাঁচি ধরলেন কেন? আসলে আধুনিক কায়দার হেয়ার স্টাইল মোটেই পছন্দ নয় স্কুল কর্তৃপক্ষের। বারবার বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই এবার হাতেনাতে ব্যবস্থা!
উঠতি বয়স, ফিল্মি কায়দায় চুল কাটার ইচ্ছে থাকে অনেকেরই। এই স্কুলের পড়ুয়ারাও তার ব্যতিক্রম নয়। কারও মাথায় ঝাকড়া চুল, আবার কারও দু’দিকে চুল ছেঁটে মাথার ওপর টেরিকাটা, আবার কারও গোটা মাথায় নেই, কপালের ওপরে কায়দা করে রাখা হয়েছে চুল। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই বিচিত্র হেয়ার স্টাইল নিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্ররা স্কুলে আসছিল। এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষকরা সতর্কও করছিলেন স্কুলের ছাত্রদের। কিন্তু, পড়ুয়ারা কেউ কান দিচ্ছিল না বলেই দাবি শিক্ষকদের। অবশেষে শিক্ষকরাই উদ্যোগ নিয়ে নাপিতের মতো কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দিলেন ছাত্রদের। স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ওই স্কুলের এক প্রাক্তন শিক্ষক জানান, স্কুলের শিক্ষকরা এটা করতে পারেন না। পড়ুয়ারা নিয়ম না মানলে অভিভাবকদের ডাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক ছাত্রের অভিভাবক বলেন, ‘শিক্ষকদের এ কাজ করা উচিত হয়নি। প্রয়োজন হলে আমাদের ডাকতে পারতেন।’ এই ঘটনায় রীতমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।