মালবাজার: বিজয়া দশমী। মা ফিরে গিয়েছেন কৈলাসে। তার মধ্যে এমন মর্মান্তিক খবর। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। তাই মন বিষাদে ভরে উঠেছে সকলের। রাস্তায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রতিমা। বিসর্জন দেওয়া হয়নি। গতকাল রাতের ঘটনার পর যে প্রশ্নগুলো ছিল তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। আর সকালে গাড়িতে ঠায় দাঁড়িয়ে মা দুর্গা। এমনই ছবি মালবাজারে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘অন্যতম বড় পুজো এটি। কিন্তু যা ঘটনা ঘটল তার পর মায়ের নিরঞ্জন হয়নি। আমাদের মন খুব খারাপ। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সব স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এমন অবস্থা।’ স্থানীয় ওই বাসিন্দা আরও বলেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকার পরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারিনি। গোটা মালবাজার বুঝে উঠতে পারছে না।’
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জেরে গত ২-৩ দিন ধরেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কারণ, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে দক্ষিণা বাতাস সরাসরি পাহাড়ে পৌঁছে বৃষ্টি নামানোর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছিল। দশমীতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ছিল জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে। বর্ষার শেষবেলায় এই ভারী বর্ষণই হড়পা বানের সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে। পাহাড়ি নদীর (এক্ষেত্রে মাল) উচ্চ প্রবাহ বা আপার ক্যাচমেন্টে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয়ে থাকলে হড়পা বানের আশঙ্কা বাড়ে। নদীখাত অগভীর হলে জলের তোড় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে হড়পা বানে।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত লোকের ভিড়ের অনুমতি দিল প্রশাসন? বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে মালবাজারে। মাল নদীতে দেবীকে বিদায় জানানোর সময়ে আচমকাই চলে আসে হড়পা বান। ভেসে যান বহু মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৪০ জনেরও বেশি।