ধূপগুড়ি: নদী পার করে দাদাকে খাবার দিতে যাচ্ছিলেন বোন। এদিকে ভরা বর্ষায় নদীতে জলস্তর কিছুটা বেড়েছে। এমনিতে হেঁটেই নদী এপার ওপার করেন তাঁরা। এদিনও তেমনভাবেই যাচ্ছিলেন ৪৫ বছরের অলিমা খাতুন। আচমকাই তলিয়ে যান বলে পরিবারের দাবি। এরপর থেকে নিখোঁজ। বিকেল পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বোনের নিখোঁজ হওয়ার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দাদা। বারবার বলছেন, তাঁকে খাবার দিতে গিয়েই এমন বিপত্তি ঘটল। রবিবার ধূপগুড়ি ব্লকের ডুডুয়া নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনই নদী পার করে কৃষিজমির কাজ করতে যান অলিয়ার রহমান। রবিবারও সেইমতোই গিয়েছিলেন। নদীতে যা জল তাতে হেঁটেই পারাপার করা যায়। গ্রামের সকলেই এভাবে যাতায়াত করেন। এদিন দাদার জন্য টিফিন বাক্স সাজিয়ে রওনা দেন বোন।
অলিয়ার রহমান বলেন, “আমার ছোট বোন হয় ও। আমাকে খাবার দিতে যাচ্ছিল। নদী অর্ধেক পারও করে। আমি দূর থেকে দেখলামও ও আসছে। তারপর চোখ ঘুরিয়ে দেখি আর নেই। সকাল ৮টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সেই থেকে সকলে খুঁজছে। এমনকী গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়ও খোঁজ করা হয়েছে। আমার বোনটা কোথাও নেই।” স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।