ধূপগুড়ি : ধূপগুড়ির জলবন্দি এলাকা মঙ্গলবার পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার। জল মগ্ন এলাকার মানুষের হাতে তুলেদিলেন শুকনো খাবার। টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি ধূপগুড়ি পৌরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকা পরিদর্শনে দেখা নেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে খোদ ওয়ার্ড কাউন্সিলরেরও। এমন পরিস্থিতিতে জলবন্দি মানুষের পাশে দাড়ালেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। যদিও এলাকা যে জলবন্দি, তা মানতে নারাজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ধুপগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোবিন্দ পল্লী চৌকিদার টারি সহ ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ ।
পৌরসভার জনপ্রতিনিধি থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ কেউ এলাকা পরিদর্শনে না গেলেও, মঙ্গলবার বিকেলে জলবন্দি এলাকা পরিদর্শন করতে যান জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ওয়াংডেন ভুটিয়া, ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। বৃষ্টির জল জমে জলবন্দি প্রায় ৩৫ টি পরিবার। সেই সমস্ত পরিবারের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেন জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত । এদিন এলকার বাসিন্দারা হাতের সামনে পুলিশ সুপারকে পেয়ে কাউন্সিলর ও বিধায়ক সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা আলি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় আছি। ভোট আসে, ভোট যায়… কিন্তু কোনও জনপ্রতিনিধির দেখা পাওয়া যায় না। আমাদের সাংসদকেও খোঁজ নিতে দেখি না। ধূপগুড়িতে বিধায়ক ও কাউন্সিলর থেকেও তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই জল যন্ত্রণার মধ্য রয়েছি, কেউ কোনও খোঁজ নেয় না।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, “আমি গোটা এলাকা পরিদর্শন করলাম। দেখলাম বহু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে। বিপর্যস্ত হয়ে আছে জনজীবন। তাই তাঁদের হাতে কিছু শুকনো খাওয়ার তুলে দেওয়া হল।” এই ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে যত দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, “কিছু নিচু এলাকায় জল রয়েছে, তবে জলবন্দি মানুষ আছে, এমন কোনও খবর নেই আমাদের কাছে। তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”