জলপাইগুড়ি: ভোটের বাকি আর মাত্র তিনটে দিন। তপ্ত মাদারিহাট। ভোট যত এগোচ্ছে ততই জল্পনা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক ও তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। তারপর থেকেই তাঁর ফুল বদলের সম্ভাবনা নিয়ে চাপানউতোর বাড়তে থাকে। এদিকে ভোট এলেও বিজেপির প্রচারে সেই অর্থে দেখা যায়নি তাঁকে। অন্যদিকে সদ্য আবার তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদকে। তবে কী দলবদল সময়ের অপেক্ষা? লাখ টাকার এই প্রশ্নের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি গৌতম দেবের।
জন বার্লা তৃণমূলেই ছিল, দাবি গৌতমের। তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। চর্চা রাজ্যস্তরেও। সম্প্রতি মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পর হয়ে বানারহাট ব্লকের বাংকু বাজার এলাকায় প্রচারে এসেছিলেম গৌতম দেব। সেখানেই এই মন্তব্য শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের। যদিও গৌতম দেবের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
এদিকে শেষবেলার প্রচারে ঝড় তুলছে শাসক থেকে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। এদিন প্রার্থীর হয়ে বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন গৌতম দেব ও ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়, বিধায়ক মোশারফ হোসেন, সংখ্যালঘু সেলের নেতা মিজানুর রহমান। সেখানেই বার্লা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন, “ও তো তৃণমূলেই ছিল। যেদিন কলকাতায় জয়েন করেছিল আমি তো ছিলাম। ও একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ও বোঝে কার হাত ধরে উন্নয়ন সম্ভব।”
পাল্টা তোপ এসেছে পদ্ম শিবির থেকে। সুর চড়িয়েছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার নেতা তথা ধূপগুড়ি বিধানসভার কনভেনার চন্দন দত্ত। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে বলেন, “গৌতম দেব কী বলল, না বলল তাতে বিজেপির কোনও যায় আসে না। জন বার্লা যদি তৃণমূলে যোগদান করে থাকতো তাহলে বিজেপির সংসদ হতো না। এখনও গৌতম দেব মনে হয় ঘুমের ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। আসলে এ ধরনের মন্তব্য করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছেন।”