ধূপগুড়ি: কাটা গলার নলি, ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়েছে চোখে-মুখে। অঝোরে ঝরছে রক্ত। প্রাণে বাঁচার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন মহিলা। বৃহস্পতিবার এমনই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা গেল ধূপগুড়িতে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটপাড়া এলাকায়। এখানেই থাকেন সরস্বতী রায় নামে বছর তিরিশের বিধবা এক মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় কালীপুজোর মণ্ডপে যাবেন বলে তৈরি হচ্ছিল সরস্বতী দেবী। বাড়ির কাছেই কুয়োর পাড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়েই আচমকা তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন তাঁর দেওর সুনীল রায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই অবস্থাতেই ছুটে এক প্রতিবেশীর বাড়িতেও যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর, ভোটপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিখিল রায়ের সঙ্গে সরস্বতী দেবীর বিয়ে হয়েছিল কিছু বছর আগে। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু, বছর পাঁচেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নিখিলবাবু। অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পরেই বউদির সঙ্গে নানা বিষয়ে ঝামেলা করতে থাকেন দেওর সুনীল রায়। মাঝেমাঝেই তা চরমে উঠে যেত বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু, তারমধ্যে যে এ ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতে পারেননি কেউই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।