TMC: মহিলাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যান, তৃণমূল নেতার নিদানে রাজনৈতিক তরজা
TMC: বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য তথা বিশিষ্ট আইনজীবী সৌজিত সিংহ বলেন, "এটা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অবজ্ঞা করা। সবাই যদি এইভাবে গাদা গাদা লোক নিয়ে যায়, তাহলে গন্ডগোল নিশ্চিত। আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম, তৃণমূল এসআইআর প্রক্রিয়া বানচাল করতে চায়। এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আমরা বিষয়টি কমিশনে জানাব।"

জলপাইগুড়ি: শুরু হয়েছে এসআইআর। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী বিএলও-দের সঙ্গে যেতে পারেন কেবলমাত্র ওই বুথের বিএলএ-রা। কিন্তু এই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে তৃণমূল নেতা বিএলএ-দের ট্রেনিং-এ ফতোয়া দিচ্ছেন, তাঁরা যেন সঙ্গে মহিলাকর্মীদের নিয়ে যান। আর এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানাতে চলেছে বিজেপি।
সম্প্রতি রাজগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রের তৃণমূলের ২৭১ জন বিএলএ-দের নিয়ে আইপ্যাকের তরফে একটি ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। সেই ট্রেনিং-এ বিএলএ-দের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, বিএলও-দের সঙ্গে কীভাবে চলতে হবে, সেটাই বিএলএ-দের বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন দলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস।
সেখানেই অঞ্জন দাস পরামর্স দেন, কোনও বুথের বিএলএ যদি পুরুষ হয়, তাহলে তাঁর সঙ্গে মহিলাকর্মীদের নিয়ে যেতে হবে। এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছে।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য তথা বিশিষ্ট আইনজীবী সৌজিত সিংহ বলেন, “এটা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অবজ্ঞা করা। সবাই যদি এইভাবে গাদা গাদা লোক নিয়ে যায়, তাহলে গন্ডগোল নিশ্চিত। আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম, তৃণমূল এসআইআর প্রক্রিয়া বানচাল করতে চায়। এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আমরা বিষয়টি কমিশনে জানাব।”
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা কিছুই না। আসলে আমাদের দলীয় কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। বিজেপি এখনও পর্যন্ত বিএলএ দিতে পারেনি। তাই সব বুথে তৃণমূলের বিএলএ-রাই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে এসব কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। তবে যদি বিজেপি কোনও বুথে ঝামেলা পাকায়, তাহলে আমাদের বিএলএ-রা সহায়তা কেন্দ্রে খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মহিলাকর্মীরা সেখানে চলে যাবে। এই কথাটাকেই ভুল ব্যাখ্যা করছে বিজেপি।”
