জলপাইগুড়ি: আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা জলপাইগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলরের স্বামীর। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পৌষালি দাস সরকার। তাঁর স্বামী শান্তনু সরকার। জানা গিয়েছে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। এদিকে গোটা ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে ছুটে যান জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে।
এদিন পৌষালি দেবী মৌখিক ভাবে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি বলেন, তাঁর স্বামীকে দলের কিছু লোক আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে থেকেই এই চক্রান্ত চলছিল। বিষয়টি তিনি দলকে জানাবেন। যদিও এই ব্যাপারে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।
ঘটনায় পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, “আমাদের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর স্বামী অসুস্থ হয়েছেন। খবর শুনে দেখা করতে এসেছিলাম। তিনি এখন ভালো আছেন। বর্তমানে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করতে বললাম। আত্মহত্যায় প্ররোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনি একজন কাউন্সিলর। তিনি দলীয় ভাবে আমাদের জানালে দল নিশ্চয়ই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।” তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বস্তুত, এদিকে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে জেলায় একছত্র আধিপত্ত স্থাপন করেছে তৃণমূল। পুরভোটের ফল প্রকাশের পরই পদ্মশিবিরে ভাঙন রাজগঞ্জে। যে সমস্ত তৃণমূল কর্মী ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিল, তাঁরাই এবার ফিরতে শুরু করেছেন ঘরে। রাজগঞ্জের মান্তাদারি অঞ্চলে বিজেপিতে চলে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের গত শনিবার দলে ফেরান তৃণমূল বিধায়ক। ওইদিন বিকেলে রাজগঞ্জের মান্তাদারিতে খগেশ্বর রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন প্রায় ২০০ পরিবার। মান্তাদারি গেট বাজার এলাকায় একটি সভায় এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। খগেশ্বর রায় দলে ফিরে আসা কর্মী, সমর্থকদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন। ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ-সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।