জলপাইগুড়ি: ফের মালবাজারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দু’পক্ষের মারপিটে আহত হলেন দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পুলিন গোলদার এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহারের মা বিনা লোহার। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মালবাজারে। মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তুলকালাম কাণ্ড মালবাজার পুরসভায়। কাউন্সিলর থেকে তৃণমূল নেতারাও পুরসভা চত্বরে প্রথমে কাজিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তারপরই তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। একে অপরের ওপর লাঠি, লোহার রড নিয়ে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
মাল পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর পুলিন গোলদারের অভিযোগ, পুর ভবনে ঢোকার মুখে তাঁকে নিগৃহীত করা হয়েছে। তাঁর মুখে আঘাত লেগেছে। পুলিনের অভিযোগের তির ছিল মাল শহর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অমিত কুমার দে’র দিকে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলর মালবাজার পুরসভার তরফে যে ঘর বণ্টন হয়েছে তার টাকার হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন পুলিন গোলদার। আর সেই হিসাব চাওয়াতেই অমিতের গোষ্ঠী ক্ষিপ্ত হয়েই হামলা চালান বলে অভিযোগ। এদিকে পৌরসভায় হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অজয় লোহারের মা বীনা লোহার। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে অজয় লোহারের মা মালবাজার থানায় ১৩ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাউন্সিলর পুলিন গোলদার ৭ জনের নামে মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অমিত কুমার দে’র পাল্টা অভিযোগ, ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঝামেলা হয়। এখানে কেউ দলের ঝান্ডা নিয়ে আসেননি। তিনি উল্টে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেছেন। পুলিন গোলদারের অনুগামী বলে পরিচিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহারও তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এক মহিলাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নবীন সাহা বলেন, “বঙ্গ জুড়ে যে উন্নয়নের রাজনীতি চলছে তার ঢেউ আজ মাল পুরসভার চত্বরেও আছড়ে পড়েছে। এদিনের ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ ভাগাভাগির গোষ্ঠী রাজনীতিরই জের।”