
জলপাইগুড়ি: স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সেই ভিডিয়ো সামনে আসার পরই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়কেই চেয়ারম্যান পদের জন্য বেছে নিল ‘বোর্ড অব কাউন্সিলর’।
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে শুক্রবারই শপথ নিতে চলেছেন সৈকত। এতদিন তিনি এই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। অপরদিকে ‘চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল’ পদে ছিলেন সন্দীপ মাহাতো। তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন হতে চলেছেন।
দলের ঘোষণার পর ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন পাপিয়া পাল। ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সৈকত। বৃহস্পতিবার সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। অপরদিকে জলপাইগুড়ি বোর্ড অব কাউন্সিলরের তরফে জলপাইগুড়ি পুরসভার সভাকক্ষে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ইস্তাফা গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক ডাকেন অস্থায়ী চেয়ারম্যান লোপামুদ্রা অধিকারী।
পুরসভার ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জন উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন পাপিয়া পাল এবং তপন বন্দোপাধ্যায়। অপরদিকে কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সিও এদিন অনুপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে শহরের ১৫৩ বছরের পুরনো স্কুল ‘জলপাইগুড়ি সুনীতি বালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়’-এর প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাসকে কান ধরে ওঠবোস করানো হচ্ছে। ঘটনায় নাম জুড়েছে সৈকতের। শিক্ষিকা নিজেও পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন ভিডিয়োটি AI দ্বারা নির্মিত। এবং এই নিয়ে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।