
জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো হচ্ছে না কাজ। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ‘ভোট রক্ষা কর্মসূচি’ পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয় গুহ। রবিবার রাত বারোটার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে নির্দেশ মত কাজ। সময়সীমা বেঁধে দিলেন ক্ষুব্ধ মন্ত্রী। শনিবার ময়নাগুড়ি থেকে ধূপগুড়িতে যান মন্ত্রী উদয় গুহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রামমোহন রায়, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়-সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব।
মূলত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলাজুড়ে ‘ভোট রক্ষা কর্মসূচি’ শুরু হয়েছে। সেই মতো তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের নির্দেশ মেনে উদয় গুহ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় তদারকি করছেন। শনিবার তিনি বিএলএদের (BLA) সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁকে একজায়গায় বলতে শোনা যায়, “যাঁরা শিফট করে গিয়েছেন তাঁরা চলে গিয়েছেন। বাকি যাঁরা থাকবেন তাঁদের সব নাম তুলতে হবে। সেটা শুধু তোলা নয়, দিদির দূত অ্যাপে তুলতে হবে। এটা না করতে পারলে চাকরি যাবে।”
তখনই কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ধূপগুড়ি পৌরসভা এলাকায় ভোট রক্ষা কর্মসূচির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়নি বলে মন্ত্রী খোলাখুলি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে ধূপগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মণের ওয়ার্ড কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৭ শতাংশ। এছাড়াও ৫ নম্বর,৭ নম্বর,১১ নম্বর, ১২ নম্বর, ১৪ নম্বর এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় নেতৃত্ব এবং কর্মীদের কার্যক্রম যথাযথভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন উদয়ন। মন্ত্রী কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেন, বকেয়া সমস্ত কার্যক্রম রবিবার রাত ১২টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তিনি ওয়াররুম ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেন। সঙ্গে এও নির্দেশ দেন, নির্বাচন কমিশনের এসআইআর-এর কাজ ৪ তারিখ শেষ হলেও তৃণমূলের ভোট রক্ষা শিবির বন্ধ করা যাবে না।
এদিন মন্ত্রী উদয় গুহ তৃণমূলের ধূপগুড়ি গ্রামীণ পার্টি অফিসে ওয়ার রুমে বৈঠক শেষে পাশের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশ্য সভায় যোগ দেন। সভায় তিনি জানান, কাজের অগ্রগতি মোটামুটি ভাল হলেও কিছু ওয়ার্ডের কার্যক্রম পিছিয়ে রয়েছে। যা দ্রুত শেষ করতে হবে বলেই নির্দেশ।
এই বৈঠকের পর উদয়ন সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখান থেকে সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেন, ” উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিউ কোচবিহার স্টেশনে স্পোর্টস হাব করার, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমিতে হওয়ার কথা নয়। বরং রেলের জমিতে হওয়ার কথা ছিল, তবুও কাজ শুরু হয়নি। শিলান্যাস হয়েছে, ভূমি পূজা হয়েছে, তবুও কার্যক্রম দেখা যায়নি।” উদয় গুহ বলেন, “ওই শিলায় অনেক কুকুরের উপকার হয়েছে,কারণ শিলা দেখলে কুকুর পা তোলে।”