CBI : জলপাইগুড়ির হোমে কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু, কোতোয়ালি থানার আইসিকে তলব সিবিআইয়ের

CBI : কিশোরের জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল তার পরিবার। এরই মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর ওই আবাসিক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

CBI : জলপাইগুড়ির হোমে কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু, কোতোয়ালি থানার আইসিকে তলব সিবিআইয়ের
চালকল ব্যবসায়ীকে তলব (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2023 | 10:03 PM

জলপাইগুড়ি : কোরক হোম কান্ডে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসিকে তলব সিবিআইয়ের। গত ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জুভেনাইল কোরক হোমে এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গলায় ফাঁস লাগলো অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। এক বছর আগে মাদক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি কোরক হোমের (CCL) চাইল্ড কনফ্লিক্ট উইথ ল বিভাগের আবাসিক হিসাবে থাকছিল ওই কিশোর। কিশোরের জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল তার পরিবার। এরই মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর ওই আবাসিক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। 

বিচারাধীন কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা জানতে পেরে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং হোম সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করে কোর্ট। পুলিশি রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি পেয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটের ডিভিশন বেঞ্চ। কোর্টের নির্দেশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। দিল্লিতে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ জোন ওয়ানের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআরে অভিযুক্তের তালিকায় জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার একাধিক অফিসার, সরকারি হোমের আধিকারিক-সহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে বলে জানাগিয়েছে।

জানা গিয়েছে সোমবার রাতে সিবিআইয়ের একটি দল জলপাইগুড়িতে আসে। বর্তমানে শহরের একটি সরকারি আবাসনে রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের দলটি মঙ্গলবার দুটো দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করে। একটি দল কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেয়। অপর দলটি জলপাইগুড়ি শহরে রয়ে যায়। এদিন বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসিকে ডেকে পাঠান সিবিআই এর আধিকারিকরা। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ সিবিআই ক্যাম্প অফিসে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তবে এই বিষয়ে ওই পুলিশ আধিকারিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, তদন্ত সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তদন্তে কোতোয়ালির আরও কয়েকজন অফিসারকে সিবিআই ডেকে পাঠাতে পারে বলে খবর। যদিও এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সিবিআই তদন্তকারীরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।