ধূপগুড়ি: “শীতলকুচির (Shitalkuchi) মতো ঘটনা বাকি চার দফায় প্রয়োজনে আরও ১৬টা ঘটবে। ভোট লুঠে এসেছিলেন, তাই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।” চতুর্থ দফা ভোটে কোচবিহারে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)।
শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে। তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP),যুযুধান দুই শিবির একে অন্যের বিরুদ্ধে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দায় চাপাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে শীতলকুচির মৃতদের ‘দুষ্টু ছেলে’ আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এর মধ্যে সায়ন্তনের কটাক্ষ, ভোট লুঠ করতে এলে শীতলকুচির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বাকি চার দফা ভোটেও।
রবিবার শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধূপগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়ন্তন বসু দাবি করেন, ভোট লুঠ করতে গিয়ে গুলি খেয়েছেন শীতলকুচি কাণ্ডের মৃতরা। তাই দরকারে বাকি চার দফা ভোটে আরও ১৬ টা শীতলকুচি ঘটবে।
তাঁর কথায়, “রাজ্যের এসপি, ডিআইজি কেন্দ্র থেকে আসেননি। উনি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নিজেই নিয়োগ করেছিলেন। তাঁরাই পরিষ্কার বলেছেন, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করার চেষ্টা হয়। বুথ দখল করার চেষ্টা করা হয়। ইভিএম লুটের ব্যবস্থা করা হয়।” তাই আত্মরক্ষার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায় এবং এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনামূলক ভাষণ। এমনটাই দাবি সায়ন্তনের।
তিনি যোগ করেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশ নয়। তারা কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকবে না, ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এরকম করে আরও সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করেন তবে, এমন ঘটনা আরও ঘটবে। শীতলকুচিতে যা ঘটেছে বাকি চার দফায় চার চারটা করে ষোলোটা ঘটবে।”
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃণমূলের সমাজ বিরোধীদের পিটিয়ে ঘরে ঢোকাতে হবে: সায়ন্তন
এদিকে সায়ন্তনের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, ”বিজেপির কালচার হল খুন করে ভোটে জেতা। বিজেপি বুঝে গেছে তারা হারছে তাই এই ধরনের খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, সায়ন্তন বসু আলটপকা বকছেন।