AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃণমূলের সমাজ বিরোধীদের পিটিয়ে ঘরে ঢোকাতে হবে: সায়ন্তন

সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সল্টলেক দত্তাবাদ এলাকায় বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগায়। সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গেই পালটা হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে সায়ন্তন এই মন্তব্য করেন।

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃণমূলের সমাজ বিরোধীদের পিটিয়ে ঘরে ঢোকাতে হবে: সায়ন্তন
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Feb 15, 2021 | 11:19 PM
Share

কলকাতা: সল্টলেকের দত্তাবাদে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি (BJP) নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের পেটানোর নিদান দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ‘শাড়ি পরা হিটলার’ বলেও তিনি আক্রমণ করেন।

ভোট যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক নেতাদের লাগামছাড়া মৌখিক আক্রমণও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। সেই ধারা অব্যাহত রেখে এ দিন সল্টলেকে সায়ন্তন বলেন, “যে তৃণমূলের সমাজ বিরোধীরা পতাকা (বিজেপির) ছিঁড়েছে তাদের নাম পাঠাতে বলেছি। ভোট করাতে সিআরপিএফ কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। তখন এগুলোকে আগে থেকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে পেটাতে হবে। পিটিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। তারপর নির্বাচন হবে।”

ঘটনা হচ্ছে, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সল্টলেক দত্তাবাদ এলাকায় বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগায়। সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গেই পালটা হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে সায়ন্তন এই মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে, নবান্ন অভিযানে আহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু নিয়ে সায়ন্তন বলেন, “যে কোনও মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। বিজেপি কর্মী উলেন রায় পুলিশের ছররা গুলির আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। আমাদের যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে পুলিশ অনেক তাণ্ডব করেছিল। বাংলায় হিটলারি সরকার চলছে। উনি শাড়ি পরা হিটলার। শাড়ি পরা হিটলারের শাসনে এরকমই ঘটবে, প্রত্যেকদিন রক্ত ঝরবে। বাংলায় গণতন্ত্র ফেরাতে এই শাড়ি পড়া হিটলারকে পরাজিত করতে হবে। এই মুসোলিনির বংশধরদের পরাজিত করতে হবে।”

আরও পড়ুন: একুশের ভোটে ২২ হাজার অতিরিক্ত বুথ রাজ্যে, জায়গা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন

এ দিন ডিওয়াইএফ এবং এসএফআই-এর পক্ষ থেকে কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকেও। সেই প্রসঙ্গে অবশ্য সায়ন্তনের সাবধানী মন্তব্য, “পুলিশকে মারা উচিত না। এভাবে পুলিশকে মারধর করার মানে হয় না। পুলিশ তো লেঠেল বাহিনী হয়ে গিয়েছে। দাসত্ব স্বীকার করেছে।”

আরও পড়ুন: রাজনীতিক ছিলেন মইদুল? মিলছে না স্ত্রী ও বোনের জবান