জলপাইগুড়ি: শীতলকুচি (Sitalkuchi) নিয়ে নিহতদের পরিবারকে ফটো সেশনের কায়দায় ছবি তোলার পরামর্শ দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে।
চতুর্থ দফা নির্বাচনে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শীতলকুচির জোরপাটকি এলাকা। সে দিন সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনন্দ বর্মন নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, জোরপাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথের অদূরে গুলি চালিয়েছে সিআরপিএফ। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
বুধবার সকালে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশের মাঠে তৈরি হয় শহিদ মঞ্চ। সেখানেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ মঞ্চেই মমতাকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা এক জন এসে ওদের ছবি তুলে দিন। যদি আপনারা ছবি তুলতে চান।” মঞ্চের দিকে প্রেসকে আসতে বলে মমতা বলেন, “একটা প্রেস আর একটা টিভি আসুন, ছবি তুলে নিন। তাহলে টোটালটা পেয়ে যাবেন।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শহিদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে রীতিমতো ফটো সেশনের কায়দায় নিহতদের পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন নেত্রী। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনাও।
আরও পড়ুন: সভা চলাকালীন আচমকাই ঢুকে পড়ে ১০-১২ জন, আসানসোলে ঐশী ঘোষকে ‘খুনের চেষ্টা’!
এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আর কোনও ইস্যু নেই ওঁর কাছে। তিনি জানেন, ভোট হারছেন। এই ভাবে মানুষের সেন্টিমেন্ট কুড়ানোর চেষ্টা করছেন। ওঁর কাছে ভোটের কোনও স্ট্র্যাটেজি নেই। তাই ছবি এঁকে আর ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন।”
তবে তৃণমূল তার সামাজিক মাধ্যমের পেজে বলছে, “আপনাদের কষ্ট বাংলার মেয়ের থেকে আর বেশি কে বুঝবে!”
No one can understand your pain better than Bengal’s daughter. Moving image from @MamataOfficial‘s visit to grieving families of Sitalkuchi genocide. pic.twitter.com/1CPRZlU8tI
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 14, 2021
মাথাভাঙায় নিহত পাঁচ জনের নামে শহিদ বেদি তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করেন মমতা। জায়গাও চিহ্নিত করে দেন। বেদি তৈরি হলে তার উদ্বোধনও তিনি করবেন বলে ঘোষণা করেন। তবে উল্লেখ্য, চতুর্থ দফা নির্বাচনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আনন্দ বর্মন নামে যে যুবকের প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে, তাঁর পরিবারের সদস্য অর্থাৎ বাবা-মা-দাদা কেউই এদিন এই মঞ্চে আসেননি। এসেছিলেন নিহতের দূর সম্পর্কের দাদু ও মামা। নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন।