ধূপগুড়ি: গাছের মগডালে উঠে বসেছিল সে। গায়ে ছোপ ছোপ দাগ। কেউ বলছিল চিতাবাঘ, কারও মনে হচ্ছিল বাঘরোল হলেও হতে পারে। তবে বনদফতরের কর্মীরা এসে যখন তাকে মগডাল থেকে নামায় দেখা যায় না সে বাঘ, না বাঘরোল, তার নাম ‘লেপার্ড ক্যাট'(Leopard Cat)। শনিবার সকালে ধূপগুড়ি শহরের একটি গাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এই লেপার্ড ক্যাটটি। একটি কাঁঠাল গাছের টঙে পাতার আড়ালে গুটিসুটি মেরে বসেছিল সে। এদিকে খাস শহরে এমন দৃশ্যে হইচই পড়ে যায় এলাকায়। দেখতে অবিকল চিতাবাঘের মতো। তাতেই ছড়ায় আতঙ্ক। এরপরই খবর দেওয়া হয় বনদফতরে।
গত বছর ধূপগুড়ি শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিশাল আকারের এক চিতাবাঘ। এরপরই এই খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার লোকজন। তবে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে। যাদের ঘরে বয়স্ক মানুষ, বাচ্চা রয়েছে, তারা আবার কষে খিল দেয় দরজায়।
লেপার্ড ক্যাট সাধারণত ডোবা অথবা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এদের দেখা মেলে না। তবে কী করে ধূপগুড়ি শহরে মধ্যে ঢুকে পড়েছিল, তা নিয়ে চিন্তায় বনকর্মীরা। গ্রামবাসীরাও আতঙ্কিত। শনিবার উদ্ধার করার পর ওই লেপার্ড ক্যাটকে লেজে ধরে নিয়ে যান বনকর্মীরা। এরপর খাঁচাবন্দি করা হয়। শারীরিক পরীক্ষা করার পর সে সুস্থ থাকায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা ভাবছিলাম চিতাবাঘের বাচ্চা বোধহয়। তাতে আরও ভয় পেয়ে যাই। মনে হচ্ছিল বাচ্চা যখন আছে, তার মানে মা নিশ্চয়ই এখানেই থাকবে। তাতেই একটা আতঙ্ক ছড়ায়।”