জলপাইগুড়ি: অবশেষে কাটল ক্ষোভের মেঘ। দলের (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের বেছে নেওয়া প্রার্থীকেই সমর্থন জানালেন বিক্ষুব্ধরা। আপাতত স্বস্তির ছায়া জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির অন্দরে। প্রার্থী বদলের দাবিতে গত ১৮ মার্চ থেকে জলপাইগুড়িতে চলছিল বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগেরও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি দীপেন প্রামাণিকের শিবিরের।
সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়তে নড়েচড়ে বসে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সমস্যা মেটাতে ময়দানে নামেন তাঁরা। এরপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে সৌজিৎ সিংহকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে দুই পক্ষ।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারের এসপি বদল, প্রচার থেকে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা অভিষেকের
কিন্তু কী ভাবে জট কাটল? নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর, সমস্যা মেটানোর নির্দেশ আসার পর দীপেন প্রামাণিকের বাড়িতে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রদীপ চন্দ ও গণেশ পাল। সেখানেই বরফ গলে। বেশ কয়েকবার বৈঠকের পর সুর নরম করেন দীপেন। সৌজিৎ সিংহকেই প্রার্থী হিসেবে মেনে নেন।
বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামাণিক জানান, যা সমস্যা ছিল মিটে গিয়েছে। শুক্রবার মনোনয়ন পত্র পেশ করা হবে। গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৪১০০০ ভোটে এগিয়ে ছিল। আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে এবার আমরা দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতে এই আসন নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেব।”
ঘটনায় বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “এক পরিবারে থাকতে গেলে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া হয়, বাবা ছেলে ঝগড়া হয়। কিন্তু আবার তা মিটেও যায়। আমাদের যা সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে। আমরা জলপাইগুড়ি জেলার সবক’টি আসন জিতে রাজ্য সভাপতিকে উপহার দেব।”