Elephant Attack: ক্ষোভে ফুঁসছিল হাতিটি, আচমকাই তুলে আছাড়, শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে গেল আরও কিছুটা পথ…

Dooars: সাতটি বাড়ি ভেঙে ফিরে যাওয়ার সময় ছাগলকে মেরে শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে যায় ওই বুনো দাঁতাল।

Elephant Attack: ক্ষোভে ফুঁসছিল হাতিটি, আচমকাই তুলে আছাড়, শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে গেল আরও কিছুটা পথ...
হাতির হানায় ত্রস্ত চা বস্তির লোকেরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 10:30 AM

জলপাইগুড়ি (মালবাজার): ভয়ঙ্কর রেগে গিয়েছিল বুনো হাতিটি (Elephant Attack)। এতটাই ক্ষিপ্ত যে, একটি ছাগলকে মেরে তাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে যায়। ডুয়ার্সের মাল ব্লকের মিনগ্লাস চাবাগানের এই ঘটনায় হতবাক চা বস্তির শ্রমিকরা। এলাকায় বিভিন্ন সময় হাতির আগমন হয় ঠিকই, ক্ষেতের ফসলও নষ্ট করে তারা। কিন্তু তা বলে এতটা হিংস্র কখনও হতে দেখা যায়নি বলেই দাবি এলাকার লোকজনের। রবিবার ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই হাতিটি এদিন এলাকায় ঢুকে প্রথমে সাতটি বাড়ি ভেঙে ফেলে। এরপরই ফেরার সময় পথের মাঝে পায় একটি ছাগল। হঠাৎ তার সব রাগ গিয়ে পড়ে ওই ছাগলের উপর। মেরে শুঁড়ে পেঁচিয়ে বয়ে নিয়ে যায় ওই ক্ষিপ্ত বুনো দাঁতাল।

ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে চলে আসে বন্যপ্রাণী। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হাতির হানা অব্যহত। কখনও ধানক্ষেতে আবার কখনও বা কলাক্ষেতে দামালপনা চলে হাতির দলের। এমনকী বহুবার চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢুকেও তাণ্ডব চালায় তারা। চা শ্রমিকদের বাড়িঘরে চলে ভাঙচুর। ঘরে মজুত করে রাখা খাবার মুহূর্তে সাবাড়ও করে ফেলে। কখনও কখনও হাতির সামনে অসহায় কোনও মানুষ চলে এলে প্রাণ দিয়ে তার খেসারতও দিতে হয়।

মিনগ্লাস চা বাগান কালিম্পং জেলা এবং জলপাইগুড়ি জেলার সীমানায় রয়েছে। চা বাগানের উত্তর দিকে রয়েছে ভুট্টাবাড়ি বনাঞ্চল। বুনো হাতির যাতায়াত রাস্তা এই চা বাগানের বিভিন্ন শ্রমিক বস্তির আশপাশ দিয়ে।আর মাঝেমধ্যেই বুনো হাতি খাবারের খোঁজে হানা দেয় শ্রমিক মহল্লায়। রবিবার ভোরের আলো ফুটতেই সেই বস্তিতে শুরু হয় হইহই। খুব ভোরে উঠে কাজ করেন চা বলয়ের লোকজন। এদিন ভোরে হঠাৎই শুরু হয় হইহই। বিকট চিৎকার শুনে হকচকিয়ে যায় এলাকার লোকজন। ততক্ষণে বাড়িতে হামলা চলছিল ক্ষিপ্ত দাঁতালের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্মীরা। স্থানীয় লোকজন ও বনকর্মীদের চেষ্টায় দাঁতালটিকে জঙ্গলের পথে রওনাও করানো যায়।

তবে এরপরই ঘটে সেই কাণ্ড! একটি ছাগলকে পথে পেয়ে মেরে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে ছাগলের অবশিষ্ট দেহাংশ নিয়ে বনে চলে যায় সে। এ বিষয়ে একদা ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে যাওয়া এবং বর্তমানে মহানন্দা বনাঞ্চলের বনাধিকারিক রাজকুমার লায়েক জানান, যদি এটা ঘটে থাকে তবে অবশ্যই বিরল। হাতি সম্পূর্ণ শাকাহারি। তার পক্ষে এই কাজ একদম বিরল ঘটনা। সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।”

অন্যদিকে হস্তি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বড়ুয়া বলেন, “এটা বিরলতম ঘটনা। ছাগল মেরে চিতা বাঘ নিয়ে যায় এটা স্বাভাবিক। তবে হাতি ছাগল মেরে নিয়ে যাচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা কোনওদিন ঘটেনি। আমি দেখিনি, শুনিওনি। কী কারণে হাতি এমন আচরণ করল তা দেখা দরকার।”