Snake Recover: কমোডের প্যানে হেয়ার ব্যান্ডের মতো কী একটা, এরপর বাড়িময় হুলস্থূল কাণ্ড…

Jalpaiguri: নয়াবস্তির অমিতাভ অধিকারী শনিবার সকালে প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়ে দেখেন কমোডের ভিতর সাপ। গুটি পাকিয়ে রয়েছে সেটি।

Snake Recover: কমোডের প্যানে হেয়ার ব্যান্ডের মতো কী একটা, এরপর বাড়িময় হুলস্থূল কাণ্ড...
কমোডে উদ্ধার সাপ। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি পাড়ায়।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 30, 2022 | 8:59 AM

জলপাইগুড়ি: ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়েছেন প্রাতঃকৃত্য করতে। কমোডের ঢাকনা সরাতেই কালো রঙের কী যেন একটা প্যানে পড়ে থাকতে দেখেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguir) নয়াবস্তি পাড়ার বাসিন্দা অমিতাভ অধিকারী। স্পষ্ট বুঝতে না পারায় আলো জ্বালেন কলঘরের। এরপরই দেখেন কালো রঙের মোটা একটি সাপ। দেখেই হইচই শুরু হয়ে যায়। বাড়ির বাকি লোকজনকে ডেকে আনেন। যদিও কোনও ক্ষতি করেনি সাপটি। অমিতাভবাবু জানান, পাইপ বেয়ে বেরিয়ে যায় সেটি। তবে শনিবার সকালের এমন অভিজ্ঞতায় কিছুটা ঘাবড়েই গিয়েছে অধিকারী পরিবার। এখন কলঘরে ঢুকলেই বারবার চোখ যাচ্ছে কমোডের আশেপাশে।

নয়াবস্তির অমিতাভ অধিকারী শনিবার সকালে প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়ে দেখেন কমোডের ভিতর সাপ। গুটি পাকিয়ে রয়েছে সেটি। তাঁর ডাকাডাকিতে বাড়ির লোকজনরা এসে সে দৃশ্য দেখে জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে খবর দেন। তারা আসে সাপটিকে উদ্ধার করতে। তবে সাপটি যে যায়গায় ছিল সেখান থেকে অনেক চেষ্টা করেও বার করা যায়নি। এরপর বারবার ফ্ল্যাশ করতে থাকে। তাতেই পথ বদলে বাইরের দিকে বেরিয়ে যায় সাপটি।

অমিতাভ অধিকারীর কথায়, “সকালে বাথরুমে ঢুকেছি ফ্রেশ হওয়ার জন্য। আমাদের কমোডের ঢাকনা দেওয়াই থাকে। সেটা সরাতেই দেখি ভিতরে হেয়ার ব্যান্ডের মতো কিছু একটা পড়ে আছে। আলো জ্বালতেই দেখি মোটা এক সাপ কমোডের ভিতর বসে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সকলকে ডাকি। আমাদের এখানকার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে খবর দিই।”

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, সাপটি এমন জায়গায় ছিল যে সেখান থেকে বের করা সম্ভব ছিল না। এরপর বার বার জল ঢালতেই কমোড থেকে ট্যাঙ্কে যায়। ট্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে আবার নিজের রাস্তা ধরে চলে যায়। এরপর আমরা ওই এলাকায় সচেতনতা প্রচার করি। আমরা বারবারই বলছি শৌচাগারে গেলে আশপাশ ভালভাবে দেখে নিন। এর আগে মালবাজারের একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কমোডের ভিতর থেকে গোখরো সাপের ছোবলে একজনের কী করুণ পরিণতি হয়। ঘরের ভিতর কমোড হলেও তা সব সময় সুরক্ষিত এমন ভাবনার জায়গা নেই।”