ধূপগুড়ি: চা বাগানের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। মৃতের নাম সফিকুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের আইভিল চাবাগানে। সোমবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিক সফিকুল ইসলাম। বাড়ির লোকজনের দাবি, সেই সময় গাছ থেকে তাঁর গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাবাঘ। এরপরই মাথায় এবং ঘাড়ে কামড়ে ধরে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সফিকুল। বাগানের রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকেন তিনি। চিৎকার করতে থাকেন। সফিকুলের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, সফিকুল মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার শালবাড়ির বাসিন্দা।
সফিকুল ইসলাম মিস্ত্রির কাজ করতেন। সোমবার তিনি আইভিল চা বাগানে মিস্ত্রির কাজই করতে গিয়েছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় আইভিল চা বাগানের বাংলো লাইনে আচমকাই চলন্ত স্কুটির উপর একটি চিতাবাঘ লাফ দেয়। চিতাবাঘের আক্রমণে সফিকুল স্কুটি থেকে পড়ে যান। এরপর তার ওপর ঝাঁপিয়ে পরে চিতাবাঘটি।
সফিকুলের প্রতিবেশি আবদুর রহমান বলেন, চা বাগানের এই রাস্তা ফাঁকাই থাকে। এই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় লোকজন যাতায়াত করেন। যেহেতু দু’পাশে চায়ের বাগান, এই পথ সবসময়ই বিপদসঙ্কুল। তবে এরকম ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে ভাবতে পারছেন না এলাকার লোকজন। ভাবতে পারছেন না আবদুরও।
আবদুর বলেন, “আমরা দাদু ডাকতাম। উনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। চাবাগান এলাকা দিয়ে উনি ফিরছিলেন। তখন বাঘ থাবা মারে। এরপরই এলাকার লোকজন ওনাকে উদ্ধার করে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যান তিনি।” এই ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহতের বাড়ির লোকজন। সুস্থ মানুষ স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোল। তাঁর এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না বাড়ির লোকেরা।