জলপাইগুড়ি: সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই শাসকদলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি। অনুব্রত মণ্ডলের মামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কল্যাণের মুখে উঠে এল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করলেন, অনুব্রতর কোনও মামলা, তা নাকি দেখার কথা ছিল মলয় ঘটকের। একইসঙ্গে অনুব্রতর কথা উঠতেই কল্যাণ জানিয়ে দিলেন, কোথাও কোনও অন্যায় হলে, দল তা ‘জিরো টলারেন্স’-এর জায়গা থেকে দেখবে।
জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এক মামলার জন্য বৃহস্পতিবার সেখানে যান তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, “দল থেকে তো বলেই দিয়েছে জিরো টলারেন্স। কেউ কোথাও দুর্নীতি করলে দল তাঁর দায় দায়িত্ব নেবে না। যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে, সে তাঁরটা বুঝে নেবে। অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাপার নিয়ে তো কীসব মামলা হবে বলেছিল, সে তো মলয় ঘটক নিজে দায়িত্ব নিয়েছিল। এরপর আমি জানি না। আমি বলতে পারব না। আইনমন্ত্রী নিজে বলতে পারবেন।”
প্রথমে পার্থ, তারপর অনুব্রত, দুর্নীতি, আর্থিককাণ্ডে শাসকদলের প্রথম সারির দুই নেতার নাম জড়ানো, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে শাসকদলের অন্দরে অস্বস্তি থাকাটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে সামনের বছরই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের প্রস্তুতি যখন শুরু, সে সময় এই নেতাদের গ্রেফতারি কোথাও কি চাপ বাড়াবে দলের নেতা-কর্মীদের? সরকারের কোনও সমস্যা হবে? বর্ষীয়ান নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ” একদমই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। উনি একমাত্র পশ্চিমবাংলার হাল ধরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মানুষ বিশ্বাস করেন। উনি মানুষের জন্য কাজ করবেন, এটা মানুষের ভরসা। তৃণমূলে ভরসার কথা যদি বলেন, একটাই, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
একইসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন, “ওদের বাজারে কিছু নেই। দু’ একটা পেয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আসছে। মার্কেটে ওদের আর কিছু নেই। লোকজনও নেই। এসব করে হয় না। মানুষের পাশে থাকতে হয়, মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়। মানুষের উপকার করতে হয়। সংগঠন না থাকলে অন্যের নামে বলে ভেসে থাকা যায় না।”