TMC: ‘দিদির দূত’ গ্রামে ঢোকেননি, সভাধিপতিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

Jalpaiguri: এদিন একটি রাস্তার কাজের সূচনা করতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।

TMC:  'দিদির দূত' গ্রামে ঢোকেননি, সভাধিপতিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই
সভাধিপতি উত্তরা বর্মন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2023 | 8:48 AM

জলপাইগুড়ি: ‘দিদির দূত’দের (Didir Doot) নিয়ে অসন্তোষ। জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সামনে পেয়ে সেই ক্ষোভ ঢেলে দিলেন তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ। সোমবার রাজগঞ্জের কুকুরযানের এই ঘটনা ফের একবার অস্বস্তি বাড়াল তৃণমূলের অন্দরে। অভিযোগ, এলাকায় এলেও গ্রামে ঢোকেন না দিদির দূতরা। বুড়ি ছুঁয়ে চলে যান। সোমবার সভাধিপতি এলাকায় যেতেই তাঁকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিন একটি রাস্তার কাজের সূচনা করতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। এরপরই স্থানীয় ভাঙামালি গ্রামে শুরু হয় হইহই। ব্লকের কুকুরযান গ্রামপঞ্চায়েতের ভাঙামালি থেকে খালপাড়া পর্যন্ত ভাঙা রাস্তার মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের অর্থ তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা। সেই রাস্তার কাজেরই সূচনা করতে সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন গিয়েছিলেন এলাকায়। তার সঙ্গে ছিলেন রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা রায়, জেলা পরিষদের সদস্য লাভলি পরভিনরা।

জাফিরুল হক নামে এক যুবক বলেন, “আমরা সকলেই তৃণমূল করি। দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার নির্দেশ আছে দিদির দূতদের সব গ্রামের সব বাড়িতে যেতে হবে। কিন্তু আমাদের অঞ্চলে তা হয়নি। এখানে নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় দিদির দূত এসেছে। আমাদের গ্রামে ঢোকেনি। তারা আসলে আমরা আমাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাতে পারতাম। আমরা জানি সরকারের আর্থিক সঙ্কট আছে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর রাস্তা মেরামতের কাজ করা যেত।”

যদিও এ নিয়ে সভাধিপতি উত্তরা বর্মন বলেন, “এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। প্রায় প্রতিদিন অভিযোগ আসে। নতুন করে রাস্তা তৈরীর জন্য আমরা পূর্ত দফতরে প্ল্যান পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও অনুমোদন হয়ে আসেনি। ঘন ঘন অভিযোগ আসার কারণে বাধ্য হয়েই জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তা মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪ কিলোমিটার এই রাস্তার জন্য প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অনেকে বলছেন মেরামত নয়, পিডব্লুডিকে দিয়ে কাজ করাতে হবে। এছাড়া দলীয় কর্মীদের কিছু ক্ষোভ রয়েছে। বিষয়টি দেখা হবে। কিন্তু আপাতত এই রাস্তাটি মেরামত করা হচ্ছে। কারণ, এই মুহূর্তে আর নতুনভাবে রাস্তা করা সম্ভব নয়।”