মানাবাড়ি: চোর-পুলিশে লুকোচুরি চলছিল। বালিতে বসে গেল পুলিশের গাড়ি। পালিয়ে গেল চোরের দল। এদিন মানাবাড়ি চা বাগানের কাছে এই ছবিই দেখা গেল সকালে। যা নিয়ে শোরগোল গোটা এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, চোর ধরতে গিয়ে যেই না নদীর চরে নেমেছে পুলিশের গাড়ি ওমনি বসে গিয়েছিল পুলিশের গাড়ির চাকা। সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় চোরের দল। অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে এলাকায় বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বালি পাচারকারীরা। চেল নদীর বুকে অবৈধভাবে বালি তুলে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। খবর রয়েছে পুলিশের কানে। কিন্তু, হাতেনাতে পাচারকারীদের ধরতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে একদল পাচারকারী ভিড় করেছে চেল নদীর বুকে। বেআইনিভাবে তুলে নিচ্ছে বালি। বোঝাই করা হচ্ছে লরিতে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় মাল থানার পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর গণেশ বর্মণ। এদিকে পুলিশ আসতে দেখে ততক্ষণে পালানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে পাচারকারীরা। একটা ট্রাক্টর তো পুলিশকে দেখে ছুটও দেয়। সেই ট্রাক্টরটিকে ধাওয়া করে পুলিশের গাড়ি। কিন্তু, কে জানত সামনেই রয়েছে বড় বিপদ।
সূত্রের খবর, কিছু দূর যওয়ার পর গাড়ির চাকা ফেঁসে যায় নদীর বুকে থাকা গর্তে। ডুবতেও বসেছিল গাড়িটি। অনেক চেষ্টা করেও আর গাড়িটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি চালক। এদিকে পুলিশের এ অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। যদিও গাড়ি থেকে ততক্ষণে নেমে চোরদের পিছনে ছুট লাগিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু, ততক্ষণে পগার পার চোরের দল। শেষে আর্থ মুভারের সাহায্যে পুলিশের গাড়িটিকে নদী থেকে বের করে আনা হয়। ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তবে এই অভিযানে শেষ পর্যন্ত দুটি ট্রাক্টর এবং একটি আর্থ মুভার আটক করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান মাল থানার আই সি সুজিত লামা।