
জলপাইগুড়ি: আদি তৃণমূলকর্মী, অথচ আবাস যোজনার ঘর থেকেই বঞ্চিত তিনি। বুধবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই জানিয়েছেন সে কথা। দুই তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বের জেরেই নাতি আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। বুধবার মমতা যখন জলপাইগুড়ির রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখন মাঝপথে সেই বৃদ্ধের কথা মন দিয়ে শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাসও দিলেন, সমস্যা মিটে যাবে। কে এই বৃদ্ধ?
৭৯ বছরের ওই বৃদ্ধের নাম রাজেন রায়। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি অকপটে তাঁর সমস্যার কথা জানান। শুধু তাই নয়, খগেশ্বর রায় ও কৃষ্ণ দাস নামে দুই তৃণমূল নেতার লড়াইতেই যে তিনি সরকারি স্কিম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সে কথাও জানিয়েছেন।
কে এই রাজেন রায়?
জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা রাজেন রায়। তিনি পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। তবে এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, তিনি একজন আদি তৃণমূলকর্মী।
২০১৮ সালের ১০ জুলাই জলপাইগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ির সভার দিকে যাওয়ার পথে গোশালা মোড় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। সেই সময় কনভয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে রাস্তার উপর এসে এলাকার পানীয় জলের সমস্যা সংক্রান্ত চিঠি তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। সেই ব্যক্তিই এই রাজেন রায়।
এরপর ২০২০ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকান তিনি। জলপাইগুড়ি পুর এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের একবার। আবাসের ঘর থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা জানালেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে। পাশাপাশি এলাকার বেহাল রাস্তার কথাও এদিন মৌখিকভাবে জানান তিনি।