AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিনা নোটিসে কন্টেনমেন্ট জোন! আটকাল বর কনের গাড়ি, বিক্ষোভ বরযাত্রীদের

Containment Zone করা হয়েছে না জানিয়েই। এলাকায় করোনা রোগী নেই অথচ মাইক্রো কন্টেনমেন্টের বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

বিনা নোটিসে কন্টেনমেন্ট জোন! আটকাল বর কনের গাড়ি, বিক্ষোভ বরযাত্রীদের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 26, 2021 | 7:42 PM
Share

জলপাইগুড়ি: করোনা (Corona) সংক্রমণ এড়াতে ছোট ছোট কন্টেনমেন্ট জোন (Containment Zone) করার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছে রাজ্য। এদিকে বিনা নোটিসে গোটা এলাকা আচমকাই মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ওয়াকারগঞ্জ এলাকায়। আর তার জেরে আটকে গেল বিয়ে বাড়ির গাড়ি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল হইচই এবং বিক্ষোভ বরযাত্রীদের।

এলাকায় বর্তমানে কোনও করোনা রোগী নেই। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে না জানিয়েই। এমনই অভিযোগে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন জলপাইগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দারা।

অভিযোগ, এই এলাকায় একসময় অনেক করোনা রোগী ছিল। এমনকি করোনা‌য় আক্রান্ত দুজন রোগীর‌ মৃত্যু‌ও হয়েছে। কিন্তু ওই সময় এই এলাকা‌কে কন্টেনমেন্ট জোন করা বা সচেতনতা প্রচার কিছুই করা হয়নি। বর্তমানে কোনও করোনা রোগী নেই। অথচ বাসিন্দাদের না জানিয়েই এলাকাকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে কেন তা বুঝতে পারছেন না বাসিন্দারা।

শনিবার ২ নম্বর ওয়ার্ডে‌র পরেশ মিত্র কলোনি এলাকার বাসিন্দা‌রা বলেন, এই এলাকায় এখন একজন‌ও করোনা রোগী নেই। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একদল মানুষ এসে গোটা এলাকা‌কে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে। আচমকা ব‍্যানার লাগিয়ে চলে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবন-জীবিকা কীভাবে চলবে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দা‌রা।

অন্যদিকে এদিন দুপুরে ওই এলাকায় একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ছেলে পক্ষ আসে মেয়ের বাড়িতে। রেজিস্ট্রিও হয়। কিন্তু আচমকা এলাকা ঘিরে রাখার কারণে আর গাড়ি বের নিয়ে বেরতে পারছেন না তাঁরা। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও পুরসভার কেউ এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। অবশেষে, এলাকাবাসীরাই কন্টেনমেন্ট জোন করতে যে এলাকা ঘিরে দড়ি বাঁধা হয়েছিল, সেটা খুলে গাড়ি বের করে দেয়।

ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন জেলা প্রশাসন ঘোষণা করে। তারা ওই এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহের করোনা রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে। তারপর ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট এলাকাকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে। আগামী ১৭ দিন ওই এলাকায় কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারবেন না। এলাকার যে দরিদ্র পরিবার রয়েছে তাদের জন্য মা ক্যান্টিন থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে। মানুষেরা অসুবিধা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন: ইন্দো-বাংলা সীমান্তে ২ শিশু সহ ৭ বাংলাদেশি গ্রেফতার, ধৃত ভারতীয় আশ্রয়দাতাও 

প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় জেলায় জেলায় স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট বা মাইক্রো কন্টেনমেন্ট এলাকা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। যে-সব জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার বেশি, শুক্রবার সেই সব জেলার কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের বক্তব্য, মুখ্যসচিব বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে যেখানে যেমন প্রয়োজন, কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রণ বিধি বলবৎ করতেই হবে।