
ধূপগুড়ি: মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন চাষিরা। কিন্তু, চাষের জমিতে যা দেখলেন, তাতে শিউরে উঠলেন তাঁরা। জড়ো করা ধানের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি হাত। আর ধান সরাতেই দেখতে পাওয়া গেল এক মহিলার মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। মৃত মহিলার নাম ফরিদা বেগম। মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত মহিলার বাড়ি ধূপগুড়ি মহকুমার পূর্ব আলতাগ্রামের প্রধান পাড়া গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত আটটা নাগাদ গ্রামের কয়েকজন চাষি মাঠে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। জমিতে গিয়ে দেখেন, এক জায়গায় ধান জড়ো করে রাখা রয়েছে। জমিতে এভাবে কারা ধান জড়ো করল, তা দেখতে যান চাষিরা। রাতের অন্ধকারে তাঁরা দেখেন, ওই জড়ো করা ধানের মধ্যে থেকে একটি হাতের কিছুটা বেরিয়ে রয়েছে। চমকে ওঠেন চাষিরা। সাহস করে ধান সরাতে কার্যত শিউরে ওঠেন। এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ ধান চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। আসেন ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। স্থানীয় বাসিন্দারাও সেখানে ভিড় করেন। মৃতের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যু কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। কারণ, কেউ আত্মহত্যা করলে তো আর ধান চাপা থাকত না।” মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ফরিদার স্বামী বাবলু হোসেনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বাবলুর। তার প্রতিবাদ করাতেই খুন করা হয়েছে ফরিদাকে।