ধূপগুড়ি: সাপে কামড়েছে মহিলাকে। সাপ (Snake) চিনতে না পেরে আস্ত সাপ নিয়ে সোজা হাসপাতালে হাজির রোগী। হুলুস্থুল কাণ্ড ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেল ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্চনা সরকারের পায়ে একটি সাপ কামড়ায়। যখন ঘটনাটি ঘটে তখন তিনি সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। ওই সিঁড়িতেই ঘাপটি মেরে বসেছিল সাপটি। এদিকে বাড়িতে সেই সময় তিনি একাই ছিলেন বলে জানিয়েছেন। সাপের কামড় খেতেই ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন।
তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় তার স্বামী প্রদীপ কুমার সরকারকে। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন তিনি। এদিকে কামড় দিলেও পালাতে পারেনি সাপটি। অর্চনা দেবীর স্বামী সাপটিকে ধরে ফলেন। প্লাস্টিকের প্যাকেট ভরে ফেলেন। ওই সাপ নিয়েই সোজা ধূপগুড়ি হাসপাতালে চলে যান। এদিকে হাসপাতালে জ্যান্ত সাপ দেখে ভয় আঁতকে ওঠেন অনেক রোগী। তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় রোগীর পরিজনদের মধ্যে। চিকিৎসক এবং নার্সরাও চমকে যান। কিন্তু, কী সাপ তা তখনও বুঝতে পারেননি কেউ।
ডাক পড়ে সর্প বিশারদদের। তাঁরা এসে জানান সাপটি আদপে নির্বিষ। গ্রাম বাংলায় এনি সাপ বলেই পরিচিত। বিজ্ঞানসম্মত নাম Enhydris enhydris। কেউ কেউ আবার রেনবো ওয়াটার স্নেকেও বলে থাকেন। বর্তমানে সাপটিকে বিশেষ আর দেখতেই পাওয়া যায় না। মূলত লুপ্তপ্রায় প্রজাতির সাপ এটি। ডোবা, পুকুরে, নদীতে আশ্রয় নিয়ে থাকে। এরা ডিম দেয় না, সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে।