
ধূপগুড়ি: চার বছর হয়েছে বিয়ের। তার মধ্যেই মৃত্যু গৃহবধূর। ঘরের ভিতরেই ঝুলছেন তিনি। আর আড়াই বছরের ছোট্ট সন্তান ঘুরে বেড়াচ্ছে মায়ের পায়ের কাছে। ছোট তো! বুঝতেই পারছে না মায়ের ছোঁয়া আর কখনও পাবে না। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমার আংরাভাষা গ্রামে। এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম মঞ্জু ওরাও (২৪)। চার বছর আগে আংরাভাসা গ্রামের যুবক সুব্রত ওঁরাও-এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে সাঁওতালি গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু-র। তাঁদের আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মঞ্জুকে। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর সুব্রত ফোন করে শ্বশুর বাড়িতে জানায়। এরপরেই পরিবারের লোকজন ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানায়।
এদিকে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। বিয়ের চার বছরের মধ্যে এই গৃহবধূর মৃত্যু হওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হবে। তারপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে জলপাইগুড়ি। এদিকে মৃতের দিদি অঞ্জু কেরকাট্টা র দাবি, বোনের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামী দায়ী। তাই কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক তার স্বামীকে।
মৃতের দিদি বলেন, “শুক্রবার চারটের সময়ে বোনের স্বামী ফোন করে। বলে আত্মহত্যা করেছে। তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম বোন এমন করতে পারে না।”