দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্য জুড়ে করোনা (Corona)-র বাড়বাড়ন্ত। তবুও সচেতন নয় এক শ্রেণির মানুষ। কারও মুখে মাস্কের দেখা নেই। কারও বা আছে। হয় পকেটে নয়তো গলায় মাদুলি করে ঝোলানো। এবার সেই উদাসীন ও অসেচতন মানুষকে শিক্ষা দিতে পথে নামল জয়নগর থানার পুলিশ (Jaynagar Police)। মঙ্গলবার থানার মোড়ে মাস্কবিহীন পথ চলতি মানুষ কিংবা গাড়ি চালকদের দেখলেই আটকায় পুলিশ। প্রথমে জিজ্ঞেস করা হয় মাস্ক কোথায়। তারপর শাস্তি হিসাবে বৈশাখের চড়া রোদে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে কিছুক্ষণ। তার পরেও নেই ছাড়। সতর্ক করে মাস্ক পরিয়ে তাঁদের ছাড়া হচ্ছে তাঁদের। প্রতিশ্রতুতি দিতে হবে, এবার বাড়ি থেকে বেরলে মুখে মাস্ক মাস্ট।
পুলিশের এমন অভিনব শাস্তির কথা ইতিমধ্যেই লোকমুখে ছড়িয়ে গিয়েছে। অন্তত জয়নগর থানা ও পার্শ্বস্থ এলাকার সামনে পথ চলতি মানুষকে এখন মাস্ক পরা অবস্থাতেই দেখা যাচ্ছে। তাই জয়নগর থানার পুলিসও মনে করছে এই শাস্তিবিধানে কিছুটা কাজ হয়েছে। তাদের কথায়, এই গরমে রোদে দাঁড়াতে আর কে চায়? পুলিশের ধারণা, এবার অন্তত মুখে মাস্ক ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে পা রাখবে না। নইলে প্রখর রোদে দাঁড়াতেই হবে।
প্রসঙ্গত, দেশ তথা রাজ্যজুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে এক জনসভা থেকে মন্তব্য করেছেন মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে আবারও রাস্তায় নেমে কাজ করতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। এ পর্যন্ত ৭০ জন পুলিশের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কবর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল নেতারা এসে টাকা-চাকরি দেবে বলেছিল’, লকডাউনের ভয়ে ঘরে ফিরে বলছেন রোজগারহীন পরিযায়ী শ্রমিকরা
এদিকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড ১৯ সংক্রান্ত বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রামিত হয়েছেন ৮ হাজার ৪২৬ জন। রাজ্যে করোনা মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬ হাজার ৮৮১ জন। সেফ হোমে আছেন ১৫৫ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৩৮২ জন।