
ঝাড়গ্রাম: সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই গোটা আকাশ ঢাকা পড়ল কালো মেঘের চাদরে। ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি। সঙ্গে চলল ব্যাপক বজ্রপাত। আর তাতেই ঘটে গেল বড়সড় বিপত্তি। এদিকে রোজকার মতো এদিনও ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রামে মাঠে চড়তে বেরিয়েছিল গরুর দল। কিন্তু, বিকালে ঘরে ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যু হল ১১টি গরুর। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামজুড়ে। তবে শুধু ১১টি গরুর মৃত্যু নয়, এদিন বাজ পড়ে আহত হয়েছে ৩টি গরু। স্থানীয়রাই আহত গরুগুলিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
তবে গরুগুলি যখন বাড়ি ফিরছিল তখন তাঁদের সঙ্গে কেউ না থাকায় কোনও মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে একসঙ্গে ১১টি গরুর প্রাণহানির ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে রাতারাতি গরু হারিয়ে শোকে বিহ্বল চুনাপাড়া গরুর মালিকরা। সূত্রের খবর গরু হারিয়েছে প্রায় ৬-৭টি পরিবার। বাজারে গরুগুলির বড় অঙ্কের দাম রয়েছে। সেখানে আচমকা মৃত্যুতে তাঁদের বড় লোকসান হয়ে গেল বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। এমতাবস্থায় প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন গরু হারানো পরিবারগুলি।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা গন্ধেশ্বর মাহাতো বলেন, “বৃষ্টি পড়ছিল তখন। তখনও গরুগুলি মাঠেই ছিল। আচমকা বজ্রপাত হওয়াতে ওখানেই মৃত্যু হয় ১১টি গরুর। ৩টি গরু আহত হয়। এ ঘটনায় গ্রামের সকলেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।” আর এক বাসিন্দা বলেন, “আজ সকালে গরুগুলি চড়াতে মাঠে দিয়ে আসি। বিকালের দিকে গরুগুলি যখন ফিরছিল তখন গরুর পালের মাঝখানে বাজ পড়ে। পালে অনেক গরুই ছিল। তার মধ্যে চুনপাড়া গ্রামের ৬-৭ জনের গরু মারা গিয়েছে। ১১টি গরু মারা গিয়েছে। তিনটি আহত গরুর অবস্থা এখন ভাল থাকলেও তারা দাঁড়াতে পারছে না।”