Jhargram: বাড়ি থেকে বলেছিল বিয়ে দিয়ে দেবে, বাংলার সেই মেয়ে আজ দিশা দেখাচ্ছে দেশকে, গর্বিত খোদ মুখ্যমন্ত্রীও
Jhargram: সম্প্রতি, ভাষা আন্দোলন করতে ঝাড়গ্রাম যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে রাজশ্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশীর্বাদ করেন। আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান। মঞ্চে রাজশ্রী মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের জীবন যুদ্ধের কাহিনী বলেন।

ঝাড়গ্রাম: অভাবের সংসার। দু’বেলা পেট চলবে কী করে তাই নিয়ে সারাদিন চিন্তা লেগেই থাকে। তারপর আবার বাড়িতে রয়েছে মেয়ে! তাই পরিবারের লোকজন চেয়েছিলেন যাতে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া যায়। তবে মেয়েটি মানেনি। লড়েছেন তিনি। ছাড়খাড় হতে দেননি নিজের স্বপ্নকে। বরং ছিনিয়ে নিয়েছেন নিজের স্বপ্নকে। আজ সেই মেয়েটিই নাম উজ্জ্বল করেছে ভারতীয় ফুটবলের।
ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা রাজশ্রী হাঁসদা। ভারতের প্রথম সাঁওতালি মহিলা, যিনি জাতীয় ফুটবল রেফারি। খেলার মাঠে ছিল রাজশ্রীর চোখ ভরা স্বপ্ন। এদিকে, বাড়ি থেকে বারবার দেওয়া হচ্ছিল বিয়ের চাপ। তবে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেই ছেড়েছেন তিনি।
সম্প্রতি, ভাষা আন্দোলন করতে ঝাড়গ্রাম যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে রাজশ্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশীর্বাদ করেন। আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান। মঞ্চে রাজশ্রী মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের জীবন যুদ্ধের কাহিনী বলেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মা-বোনেদের বলব মেয়েদের এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। তাড়িতাড়ি মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার কথা ভুলে যান। তাঁরা নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। প্রয়োজনে তাঁরা পরিবার চালাতে পারেন। দেশ চালাতে পারে, প্লেন চালাতে পারে, ডাক্তার হতে পারে। ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। আমার কন্যাশ্রীরা বাইরে বাইরে গিয়ে যখন বাংলার মুখ উজ্জ্বল করে, তখন আমার দেখতে ভাল লাগে।”

