
দিঘা: পুরীকে যে টেক্কা দেবে, সেই আশঙ্কা ছিলই। দিঘার প্রথম বছরের রথযাত্রাতেই ভাল ভালই মিটছে। আর যে আশঙ্কা একাংশ করেছিল, তাও কার্যত পূর্ণ হয়েছে। পুরীর ভিড় এড়িয়ে বাঙালি রথের আসর জমিয়েছিল দিঘাতেই। ঘুরেছে জগন্নাথ মন্দির। খেয়েছে পাপড়-জিলিপি। কিন্তু রথ দেখা তো হল। কলা বেচা, সেটা কতটা হল?
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন বলছে, রথযাত্রা উপলক্ষে কলা বেচাটাও মন্দ হয়নি। ওই কয়েকদিনেই প্রায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে সৈকত শহরে। আর এই বিরাট মুনাফার সাক্ষী থেকেছে সেখানকার ছোট-বড় ব্যবসায়ী, এমনকি মন্দির কমিটিও।
দু’সপ্তাহ ব্যাপী রথযাত্রা অনুষ্ঠানে দিঘার অফ-সিজন পূর্ণ হয়েছে পর্যটকে। আগে যেখানে এই সময়কালে তপ্ত গরমের কারণে মাছি তাড়াত হোটেল ব্যবসায়ীরা। সেখানেই এই বছর শুধুমাত্র রথযাত্রার কারণে পর্যটকের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে তারা। একটি হিসাব বলছে, এই সময়কালে দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের মোট আয় হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘায় মোট ৮৫০টি ছোট-বড় হোটেল রয়েছে, যাদের মোট রুমের সংখ্য়া ২৫ হাজারটি। যদি এই প্রতিটি হোটেল সমপরিমাণ আয়ও করে থাকে, তাহলে তা মোটেই কম নয়। দিঘা-শঙ্খপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি বিপ্রদাস চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, এই সময়কালে প্রায় প্রতিটি হোটেলের ১০ থেকে ১২টি রুম টানা দু’সপ্তাহের জন্য পর্যটক পূর্ণ ছিল। যাদের প্রতিদিনের ভাড়া দুই থেকে চার হাজার টাকা।
একই ভাবে দিঘা যারা টোটো-অটো, এমনকি দিঘাগামী বাস যারা চালান, তাদের আয়ও এই দু’সপ্তাহেই আকাশ ছুঁয়েছে। এই সময়কালে গণপরিবহন ব্যবসায়ীদের আয় হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। একই ভাবে যারা সমুদ্রের পাশে খাবারের দোকান নিয়ে বসেন। সেই সকল ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের মোট ব্যবসার অঙ্ক এসে ঠেকেছে ১৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে রাজ্য়ের অর্থনীতিতে দিঘা এখন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সংযোজন।