‘ভুল করে বিজেপিতে গেছিলাম,’ তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মৌসমকে চিঠি ১৮ পঞ্চায়েত সদস্যের

"ভুল করে বিজেপিতে গেছিলাম। বুঝতে পেরেছি। আবার তৃণমূলের ফিরে আসতে চাই। তাই জেলা সভানেত্রী ও বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছি।''

'ভুল করে বিজেপিতে গেছিলাম,' তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মৌসমকে চিঠি ১৮ পঞ্চায়েত সদস্যের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 02, 2021 | 4:34 PM

মালদহ: একুশের বিধানসভা ভোটে হারের পর মালদহে ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি। ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মালদহ জেলার সভানেত্রী মৌসম নুরের কাছে আবেদন করলেন রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন সদস্য। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই ১৮ জন সদস্য তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখান।

এদিকে এর আগে প্রাক্তন বিধায়ক সরলা মুর্মুর তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় স্তরে আলোচনা করে দলবদলুদের ঘরে ফেরানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৌসুম নুর। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের দলে টানা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬ টি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস ও চারটি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। পরবর্তী সময়ে ওই চার কংগ্রেস সদস্যও তৃণমূলে নাম লেখান। বিরোধী-শূন্য হয়ে পড়ে রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ওই পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল।

এদিকে একুশের ভোট পর্ব শেষ হতেই ফের দলবদলের হিড়িক। ফের দলে ফিরতে চেয়ে জেলার তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরকে চিঠি দেন রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির দলত্যাগী ১৮ জন সদস্য। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শুভম সরকার বলেন, “ভুল করে বিজেপিতে গেছিলাম। বুঝতে পেরেছি। আবার তৃণমূলের ফিরে আসতে চাই। তাই জেলা সভানেত্রী ও বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছি।”

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসুম নুর বলেন, “১৮ জন সদস্য দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। দলীয় স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” সমস্ত বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘আপনাকে চিঠি লিখেছিলাম, জেলাশাসককেও, উত্তর মেলেনি’, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীকে পত্রাঘাত অধীরের

যদিও জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলের দাবি, ভয় দেখিয়ে তৃণমূল এভাবেই তাদের কর্মীদের নিজেদের দিকে টানছে। তবে তাঁর এও মন্তব্য, “আমরা কাউকে জোর করে ধরে নিয়ে আসিনি। জোর করে ধরে রাখতেও চাইনা। তবে বিজেপিতে থাকলে সম্মানের সঙ্গে তাঁরা কাজ করতে পারবেন।”