
মালদহ: আর কয়েকটা দিন। সব জায়গায় জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। কিন্তু তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে যাবে কেউ ভাবতেই পারেনি। কারণ, এবার এবার পুজোতেও হয়ে গেল প্রতারণা! শেষমেশ উদ্যোক্তাদের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রতারণার শিকার একটি দু’টি নয়, পরপর পাঁচটি বিগ বাজেটের পুজোর পুজো কমিটি। পূজা মণ্ডপের বায়নার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে রাতারাতি উধাও কলকাতার বেহালার একটি ডেকোরেটর সংস্থা। মাথায় হাত ক্লাব কর্তাদের। মালদা জেলা প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ এই পাঁচটি ক্লাবের কর্মকর্তারা।
পুজোর বাকি আর মাত্র ১৪ দিন। মালদহ শহরের মণ্ডপে-মণ্ডপে চলছে জোর কদমের প্রস্তুতি। এই পরিস্থিতিতে রহস্যজনকভাবে ‘উধাও’ হয়ে যায় এই ডেকোরেটার সংস্থা বলে অভিযোগ। এই পাঁচটি ক্লাবের পুজোর থিমের কাজ অসম্পূর্ণ করেই পালিয়ে গিয়েছে ডেকোরেটার সংস্থা বলেই অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবে মাথায় হাত পড়েছে মালদা শহরের অবস্থিত এই সকল বিগ বাজেটের।
প্রতারণার শিকার পাঁচটি ক্লাব। তার মধ্যে রয়েছে ইংরেজবাজারের বালুচর কল্যাণ সমিতি, দিলীপ স্মৃতি সঙ্ঘ, কৃষ্ণ পল্লী কল্যাণ সমিতি, বেলতলা ক্লাব এবং হিমালয় সঙ্ঘে। শহরের এই পাঁচটি ক্লাব প্রতিবছরই থিমের পুজোয় নজর কাড়ে। বিশ্ব বাংলা পুরস্কারে এই পাঁচ পুজোই সম্মানিত হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
এই বছর এই পাঁচটি ক্লাবের পুজোর থিমের সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতার বেহালার ডেকোরেটার ব্যাবসায়ী সুদীপ্ত পালকে। অভিযোগ, অর্ধেক কাজ করে রাতারাতি উধাও ওই ডেকোরেটার ব্যবসায়ী এবং তার কর্মীরা। যে হোটেলে ছিলেন সেখানে খোঁজ করতে গেলে জানা যায় হোটেলও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। ফোন সুইচ অফ। এই পরিস্থিতিতে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ক্লাব সম্পাদক বালুচর কল্যাণ সমিতির অমিতাভ শেঠ বলেন, “সুদীপ্ত পাল নামে কলকাতার শিল্পী যিনি আরও এই জেলার পুজোর কাজ ধরেছেন, ওকে আমরা কাজ দিয়েছি। টাকাও দিয়েছি। হঠাৎ করে দেখছি ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এরপর হোটেলে গেলাম আমরা। কিন্তু সেখানেও কোনও খোঁজ পেলাম না। পরে জানলাম চলে গেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি। এখন আমরা লোকাল সংস্থাকে আবেদন জানিয়েছি তারা সাহায্য করছে।”