
মালদহ: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মালদহে ফের চলল গুলি। মঙ্গলবার সকালে এক তৃণমূল কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। আর রাতে এক পাপড় বিক্রেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। মৃত পাপড় বিক্রেতার নাম আজহার আলি। মালদহের কালিয়াচক থানার কাশিমনগর এলাকায় তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়।
আজহার আলির বাড়ি কালিয়াচক থানার ফতেখানিতে। গতকাল রাতে একটি মেলায় পাপড় বিক্রি করে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে বছর পঞ্চান্নর ওই পাপড় বিক্রেতার। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি আজহার আলিকে।
আজহার আলির প্রতিবেশীরা বলেন, এলাকায় কারও সঙ্গে কোনও গন্ডগোল ছিল না ওই পাপড় বিক্রেতার। মেলায় মেলায় পাপড় বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। এক প্রতিবেশী বলেন, “রাতে আমরা খবর পাই, রাস্তায় পড়ে রয়েছেন উনি। গিয়ে দেখি, মাথার বাঁদিকে ফুটো হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সুজাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মালদহে রেফার করা হয়। মালদহে হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।” তাঁদের সন্দেহ, মেলা থেকে পাপড় বিক্রি করে ফেরার পথে হয়তো দুষ্কৃতীরা পথ আটকেছিল। সব কিছু কেড়ে নিয়ে গুলি করে খুন করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালেই কালিয়াচক থানার এক তৃণমূল কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ইংরেজবাজার থানার কাটাগর এলাকায় একটি আম বাগান থেকে। ভোটের আগে মালদহে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আজহার আলির প্রতিবেশীরা বলছেন, কালিয়াচকে আগে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেশি ছিল। মাঝে বন্ধ ছিল। কিন্তু, এখন তা ফের বেড়েছে। এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।