AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বছর দশেক কাজ করার পর আচমকা ছাঁটাইয়ের নোটিস, শতাধিক কর্মীর বিক্ষোভে অচল সরকারি হাসপাতাল

বছর দশেক ধরে কাজ করছেন এই শ্রমিকরা। আচমকাই তাঁদের বেতন বন্ধ করে কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে।

বছর দশেক কাজ করার পর আচমকা ছাঁটাইয়ের নোটিস, শতাধিক কর্মীর বিক্ষোভে অচল সরকারি হাসপাতাল
মালদা মেডিক্যাল কলেজ (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 1:20 PM
Share

মালদা: কিছুদিন আগেই কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চুক্তি ভিত্তিক ঠিকা শ্রমিকদের বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। আর এ বার মালদা মেডিক্যাল কলেজ। গতকালই আচমকা ছাঁটাইয়ের নোটিস দেওয়া হয়েছে সরকারি হাসপাতালের শতাধিক কর্মীকে। আর তার জেরেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আজ, শনিবার থেকে কার্যত অচলাবস্থা মালদা মেডিক্যালে। কর্মী বিক্ষোভের জেরে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা।

মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৭৭ জন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাইয়ের নোটিস দেওয়া হয়েছে। অগস্ট মাস থেকে তাঁদের হাসপাতালে কাজে আসতে নিষেধ করে নোটিস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের যে তহবিল থেকে তাঁদের টাকা দেওয়া হত, সেখান থেকে টাকা দেওয়া নাকি বেআইনি, এই অজুহাতে ছাঁটাই করা হচ্ছে কর্মীদের। কর্মীদের প্রশ্ন, এত দিন কী ভাবে টাকা দেওয়া হত।

মালদা মেডিক্যালের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা অনেক বছর ধরে এই হাসপাতালে কাজ করছেন। হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার পর কর্মীর অভাব মিটিয়েছেন তাঁরাই। ছ মাস অন্তর তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হত বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই কর্মীরা সাধারণত কেউ ল্যাবরেটরিতে কাজ করেন, কেউ ডেটা অপারেটর,  আবার কেউ স্বাস্থ্যকর্মী। এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ছিল মাসে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কর্মীদের দাবি অবিলম্বে এই নোটিস প্রত্যাহার করা হোক।

অন্যদিকে, কলকাতায় ন্যাশাল মেডিক্যাল কলেজের কর্মীদের দাবি, বেতন বৈষম্য রয়েছে তাঁদের। কারও বেতন ১০ হাজার, আবার কেউ পান ৫ হাজার। সূত্রের খবর, এই সব ঠিক শ্রমিকদের নথি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মালদার বিজেপি নেতা গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘তৃণমূলের অপশাসনে হাসপাতালে স্বজনপোষণ চলছে। শাসক দল কিছু এজেন্টকে নিযুক্ত করেছে। কোনও দাদার নামে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে, যোগ্যতা দেখা হচ্ছে না। তারপর আবার নানা অজুহাতে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এর একটা নিয়ম থাকা দরকার।’ আরও পড়ুন: ‘বাবু তোর এ কী সর্বনাশ হল’! ছেলের দেহের সামনে পড়ে আছাড়ি পিছাড়ি মায়ের, মৃতদেহ জাপটেই স্নেহ চুম্বন