AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বাবু তোর এ কী সর্বনাশ হল’! ছেলের দেহের সামনে পড়ে আছাড়ি পিছাড়ি মায়ের, মৃতদেহ জাপটেই স্নেহ চুম্বন

Maldah: পরিকল্পিত ভাবে ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মা-বাবার।

'বাবু তোর এ কী সর্বনাশ হল'! ছেলের দেহের সামনে পড়ে আছাড়ি পিছাড়ি মায়ের, মৃতদেহ জাপটেই স্নেহ চুম্বন
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2021 | 10:15 AM
Share

মালদহ: বাড়ির মেধাবী ছেলে ক্রমেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছিল। এরপরই বাড়ির লোকজন তাঁকে সোনারপুরের একটি রিহ্যাবে রেখে আসেন। অভিযোগ, সেখান থেকে ছেলের রক্তাক্ত দেহ বাড়িতে ফেরাল কর্তৃপক্ষ। মালদহের ইংরেজবাজারের ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলেকে।

মালদহের নেতাজী সুভাষ রোড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুমিত রায় পেশায় ঠিকাদার। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে সায়ক মালদহেই একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ে। কিন্তু বছর দুই ধরে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে বলে পরিবারের দাবি। ক্রমশ স্বভাবেও পরিবর্তন দেখা দিচ্ছিল। এর পরই উদ্বিগ্ন মা-বাবা স্থানীয় একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছেলেকে রেখে আসেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি বলেই পরিবারের দাবি।

এর পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে একটি রিহ্যাবে সায়ককে রাখার ব্যবস্থা করা হয় বলে পরিবারের দাবি। বৃহস্পতিবার সায়কের বিটেক ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। এদিন রাতেই সোনারপুরের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে কয়েকজন এসে তাকে নিয়ে যায়। সায়ক যেতে না চাওয়ায় রীতিমতো জোরাজুরি চলে বলে অভিযোগ। এমনকী মুখে কাপড় বেঁধে মারধরও করা হয়। যদিও ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাড়ির লোকজন মুখ বুজে ছিলেন। এর ঘণ্টা চারেক পরই রিহ্যাব সেন্টার থেকে ফোন করে জানানো হয় তারা পৌঁছে গিয়েছে।

প্রথম এখানেই খটকা লাগে পরিবারের। এত কম সময়ে কী ভাবে মালদহ থেকে সোনারপুর পৌঁছে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মা-বাবার মনে। পরিবারের দাবি, এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই রিহ্যাব সেন্টার থেকে জানানো হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সায়কের মৃত্যু হয়েছে।

পরিবারের দাবি, সাদা কাপড়ে মুড়ে মৃতদেহ দিয়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে রিহ্যাবের লোকজন। কাপড় সরাতেই দেখা যায় ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। মুখের ডানদিকে রক্ত জমাট বাঁধা, হাঁটু, পা, হাতে আঘাতের চিহ্ন। এরপরই ইংরেজবাজার থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে বলে দাবি পরিবারের। সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। পরিবার সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যাবে বলেই জানিয়েছে। আরও পড়ুন: ১০০ কোটির মধ্যে চারজনের শরীরে হয় এই টিউমার, অস্ত্রোপচারে বড়সড় সাফল্য কলকাতায়