AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অতিমারিতে বন্ধ স্কুল, সেখানেই ভাড়া নিয়ে সংসার পেতেছেন ‘প্রভাবশালী’

অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক (Head Sir) টাকার বিনিময়ে এই ভাড়া দিয়েছেন। যদিও তিনি তা মানতে নারাজ।

অতিমারিতে বন্ধ স্কুল, সেখানেই ভাড়া নিয়ে সংসার পেতেছেন 'প্রভাবশালী'
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: May 29, 2021 | 7:24 AM
Share

মালদহ: সরকারি স্কুল (School) ভবন। তা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাও আবার এক বছরের জন্য। মানিকচকের সাহেব রামটোলা প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদি প্রধান শিক্ষক অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলের ক্লাসরুম ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বড় দু’টি ক্লাসরুমে পরিবার, পোষ্য নিয়ে থাকছেন ওই ব্যক্তি। এক বছরের চুক্তিতে এই ভাড়া দেওয়া হলেও প্রয়োজনে তা বাড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীর অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে এই ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় বছর ঘুরে গেল স্কুলগুলি বন্ধ। অভিযোগ, সেই সুযোগকেই কাজে লাগান প্রধান শিক্ষক কনক সাহা। গ্রামেরই এক প্রভাবশালী লালমোহন মণ্ডলকে স্কুলের দু’টি ক্লাস টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, লালমোহন মণ্ডল তাঁর বাড়ি ভেঙে নতুন করে তৈরি করছিলেন। সে সময়ই পরিবার নিয়ে এলাকার স্কুলে থাকা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: আট ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে দেহ! করোনা রোগীকে গ্রামের শ্মশানে দাহ ঘিরেও উঠল আপত্তি

অভিযোগ, পুরো স্কুলচত্বরই নিজের কাজে ব্যবহার করেন লালমোহন। বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম ইট, বালি, সিমেন্ট এমনকী গবাদি পশু গরু, ছাগলকেও সেখানেই তুলেছেন বলে অভিযোগ। ক্লাসরুমের বারান্দায় গরু, ছাগলের অবাধ ঘোরাফেরা। বারান্দায় গরুকে খাওয়ানোর জন্য খড় রাখা। স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণও ঠিকমত করা হয় না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে রীতিমত বচসা শুরু হয় লালমোহনের পরিবারের। লালমোহনের স্ত্রীর দাবি, প্রধান শিক্ষককে ন্যায্য ভাড়া দিয়ে অনুমতি নিয়েই তাঁরা গোটা স্কুল ভাড়া নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক কনক মণ্ডল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, গ্রামবাসীদের অনুরোধেই তিনি স্কুলের একটি ক্লাসরুম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।