AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আট ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে দেহ! করোনা রোগীকে গ্রামের শ্মশানে দাহ ঘিরেও উঠল আপত্তি

COVID-19 Death: পরে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বিডিও অফিস থেকে। তারাই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে।

আট ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে দেহ! করোনা রোগীকে গ্রামের শ্মশানে দাহ ঘিরেও উঠল আপত্তি
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: May 29, 2021 | 6:56 AM
Share

পূর্ব বর্ধমান: ফের ঘণ্টার পর ঘণ্টা করোনায় মৃতের দেহ পড়ে থাকার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় জামালপুরে। প্রায় আট ঘণ্টা পর ওই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।

জামালপুর থানার বেরুগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম জামুদহ। এই গ্রামেই শ্বশুরবাড়ি বছর ৩৬-এর পম্পা নন্দীর। পম্পার স্বামী ও মেয়েও করোনা আক্রান্ত। বাড়িতেই রয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি করোনা উপসর্গ ধরা পড়ে পম্পার। ২৬ মে পরীক্ষা করা হলে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর পর থেকে বাড়িতেই পম্পার করোনার চিকিৎসা চলছিল।

এরইমধ্যে শুক্রবার ওই গৃহবধূর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। এদিন সকালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই মৃতদেহ সৎকার নিয়ে চরম অসহায়তা তৈরি হয় পরিবারের মধ্যে। করোনায় মৃত, সেই আতঙ্কে কোনও প্রতিবেশী এগিয়ে আসেননি। এদিক ওদিক ফোনাফোনি করেও বিশেষ উপকার হয়নি। প্রায় ৮ ঘণ্টা বাড়িতেই শোওয়ানো ছিল মৃতদেহ।

আরও পড়ুন: ‘কীভাবে ভাবলেন সুরক্ষা কবচ নষ্ট হতে দেব?’, ঝাড়খণ্ডের চিঠি পেয়েই টিকা নষ্টের নথি সংশোধনে রাজি কেন্দ্র

পরে প্রশাসনের উদ্যোগে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও গ্রামের শ্মশানে তা দাহ করা নিয়েও আপত্তি ওঠে। এই পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে বধূর মৃতদেহ সৎকারের জন্যে নিয়ে যাওয়া বর্ধমানের নির্মলঝিল শ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য হয়।

এ প্রসঙ্গে বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, “এদিন দুপুর প্রায় তিনটে নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে জামুদহ গ্রামের এক কোভিডে মৃত মহিলার দেহ বাড়িতেই পড়ে রয়েছে। সংক্রিত হয়ে পড়ার আতঙ্কে কেউ মৃতদেহে হাত দিতে চাইছেন না। মৃতদেহ সৎকারেও কেউ যেতে চাইছেন না। বিষয়টি জানার পরই বেরুগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরই পঞ্চায়েত কর্মী অমিত মণ্ডল ও পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাহাবুদ্দিন কোভিডে আক্রান্ত মৃতদেহ উদ্ধারে বিশেষ ভাবে তৎপরতা শুরু করেন। জামালপুর ব্লক হাসপাতাল থেকে মহিলার ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি চারটি পিপিই কিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। গ্রামপঞ্চায়েতের তরফেই চার স্বেচ্ছাসেবক জোগাড় করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়।”