‘কীভাবে ভাবলেন সুরক্ষা কবচ নষ্ট হতে দেব?’, ঝাড়খণ্ডের চিঠি পেয়েই টিকা নষ্টের নথি সংশোধনে রাজি কেন্দ্র
গত ২৫ মে বিভিন্ন রাজ্যে টিকা নষ্টের পরিমাণ নিয়ে একটি নথি পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরপরই ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, এমনকি কেন্দ্রের শাসকদল শাসিত মধ্য প্রদেশও এই তথ্যকে ভুল বলে দাবি করে।
রাঁচী: কেন্দ্রের কাছে টিকা চেয়ে আগেই সরব হয়েছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। তবে টিকার বদলে মিলেছিল টিকা নষ্ট করার তথ্য, যেখানে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ২৫ মে অবধি রাজ্যে মোট ৩৭.৩ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। এরপরই ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হল, কেন্দ্র সেই ভুল সংশোধনে রাজি হয়েছে।
গত ২৫ মে বিভিন্ন রাজ্যে টিকা নষ্টের পরিমাণ নিয়ে একটি নথি পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরপরই ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, এমনকি কেন্দ্রের শাসকদল শাসিত মধ্য প্রদেশও এই তথ্যকে ভুল বলে দাবি করে। শুক্রবার অভিযোগকারী চার রাজ্য অর্থাৎ ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক। এরপরই রাজ্যের দাবি মেনে ভুল সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা বলেন, “ঝাড়খণ্ডে ৪.৬৩ শতাংশেরও কম টিকা নষ্ট হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের নথিতে তা অনেক বেশি দেখানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ড সরকার এই বিষয়টি নিয়ে সরব হতেই ভিডিয়ো কনফারেন্স বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারকরা তথ্য সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জাতীয়স্তরে গড়ে টিকা নষ্টের পরিমাণ হল ৬.৩ শতাংশ। রাজ্যে সর্বাধিক ৪ থেকে ৪.৫ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কীভাবে আপনারা ভাবেন যে ঝাড়খণ্ড সুরক্ষা কবচ (করোনা টিকা)-কে এভাবে নষ্ট হতে দেবে?”
আরও পড়ুন: চাষের জমিতে মিলল ৩০ ক্যারাট হিরে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ