মালদহে: উনুনে দুধ ফোটাচ্ছিল মা। হাত দু’টো সামনের দিকে নেড়ে হাসি হাসি মুখ করে মায়ের দিকেই ছুটে আসছিল দু’ বছরের ছোট্ট ছেলেটা। হঠাৎই কিছু বোঝার আগে ফুটন্ত দুধের পাত্রে পড়ে যায় শিশুটি। একেবারে ঝলসে মুহূর্তে সব শেষ! রবিবার মর্মন্তুদ এই ঘটনার সাক্ষী রইল ইংরেজবাজার।
ইংরেজবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুর। সেখানেই স্ত্রী অপর্ণা ও দুই মেয়ে এক ছেলেকে সুরেশ ঘোষের ছোট্ট পরিবার। বছর দুই আগে কোল আলো করে ছেলে আসে অপর্ণার। আদর করে নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ। ভুবন ভোলানো হাসি, একটু একটু হাঁটাও শিখেছে। মা যখন রান্না করে, টলমল পায়ে মায়ের দিকে এগিয়ে আসে সে।
আরও পড়ুন: যে তিন পথে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলায় ধরে রাখতে পারেন মমতা
পরিবার সূত্রে খবর, এদিনও মা উনুনে ছেলে মেয়ের জন্য দুধ ফোটাচ্ছিল। ঘরে দাওয়ায় ঘুরে ঘুরে খেলা করছিল একরত্তি জগন্নাথ। হঠাৎই মায়ের দিকে এগিয়ে আসে। কোনও ভাবে টাল সামলাতে না পারায় উথলে ওঠা দুধের পাত্রেই ছোট্ট মুখটা গিয়ে পড়ে। ও টুকু মুখ একেবারে ডুবে যায় আগুন-পাত্রে। মুহূর্তে সব শেষ! তবু মা বাবা ছেলেকে কোলে নিয়ে ছোটে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের পথে।
মায়ের মন! অসাড় ছেলে কোলে ধরেও মানতে চায়নি খারাপটা। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় জগন্নাথের। এমন সর্বনাশে আকাশ ভেঙে পড়েছে ঘোষ বাড়িতে। ছোট্ট জগন্নাথের দেহ পাঠানো হয়েছে লাশ কাটা ঘরে। ময়না তদন্ত করা হবে ওইটুকু দেহের।