মালদহ: প্রথমে বৈষ্ণবনগর। তারপর এখন সুকদেবপুর। বিএসএফ-এর সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছে বিজিবি। অভিযোগ, কাঁটাতার লাগাতে সমানে বাধা দিচ্ছে বিজপি। ভারতের সীমানায় কাঁটাতার দিয়ে ঘেরায় প্রতিবেশী দেশ কেন বাধা দেবে উঠছে প্রশ্ন। শেষে বিএসএফ-কে সাহায্য এগিয়ে এলেন গ্রামবাসী। দা-কাটারি হাতে বিএসএফ-এর সঙ্গে রাত পাহাড়া গ্রামবাসীদের।
এক গ্রামবাসী বিবেক মণ্ডল বলেন, “আমরা বর্তমানে বিএসএফ-এর সঙ্গে রাতে পাহাড়া দিচ্ছি। বিএসএফও দিচ্ছে। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা যাতে না আসে। এটা তো আমাদের দেশ। আমাদের সীমান্তে আমরা কেন কাঁটাতার দিয়ে ঘিরব না? আমরা তো কাঁটাতারের বেড়া ঘিরবই। চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়ব না।” আরও এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা পালা করে করে গ্রাম পাহাড়া দিচ্ছি। বিএসএফ-এর সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে আমরাও চেষ্টা করছি পাহাড়া দেওয়ার। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাঙ্কার খুঁড়ছে। ফায়ারিং করার জন্য বসেই আছে। যখন তখন লোক পাঠাচ্ছে এ দিকে। উস্কানি দিচ্ছে যুদ্ধ করব বলে।”
উল্লেখ্য, এই উস্কানি দেওয়ার ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। এর আগে মালদহের বৈষ্ণবনগরে বিএসএফ ফেন্সিং করতে গেলে বাধা দেয় বিজিবির জওয়ানরা। বাধা দেন বাংলাদেশের স্থানীয় বাসিন্দারাও। উত্তেজনার আবহেও এপারের গ্রামের লোকজনও বর্ডারে ছুটে যান। বিএসএফ-কে সাহায্যের হাত বাড়ান এলাকার বাসিন্দারা। যদিও বেশ কিছুক্ষণের বচসার পর পিছু হটে বাংলাদেশিরা।