Dharna: কেন করলে এরকম? শিক্ষক প্রেমিকের বাড়িতে ধরনা মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের
Malda: 'কেন ও এমন করবে?' পরনে সিভিক ভলান্টিয়ারের ইউনিফর্ম। তবে কাজে না গিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের।
মালদহ: ‘কেন ও এমন করবে?’ প্রশ্ন সিভিক ভলান্টিয়ারের ইউনিফর্ম পরা মহিলার। সোমবার কাজে না গিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা দেন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে বুঝিুয়ে সুঝিয়ে সেখান থেকে সরাতে পারলেন না খোদ পুলিশ আধিকারিক। তাঁর সঙ্গে একাধিক মহিলা পুলিশ কর্মী। সবাই তাঁকে উঠতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু ধরনা থেকে সরতে নারাজ ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। জানান, বিয়ে তাঁকে করতেই হবে।
এদিন বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ইউনিফর্ম পরে ধরনায় বসেন সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের গাজোল থানার হরিদাস গ্রামে। জানা গিয়েছে, প্রেমিক হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। নাম উৎপল সরকার। তাঁর সঙ্গে ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের বহুদিনের সম্পর্ক। কিন্তু এখন বিয়ে করতে বেঁকে বসেছেন তিনি। এই অভিযোগেই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার সোজা গিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।
এদিকে সিভিক ভলান্টিয়ারের এই কাণ্ডের কথা শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাজোল থানার পুলিশ। কিন্তু ধরনা থেকে তাঁকে তোলা যায়নি সহজে। তাঁর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক কেন এ কাজ করল তার জবাব না পেলে সরবেন না। তাঁকে পুলিশ আধিকারিক বোঝাতে গেলে তাঁকে উল্টে তিনি জানিয়ে দেন, এখন প্রেস্টিজের কথা ভাবছেন না। আগে প্রেমিক দেখা করুন। এমনকি প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতেও চাননি তিনি।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার শেষে অবশ্য ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, গাজোল থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের পেশায় কর্মরত। গত দু’বছর আগে গাজোলের বাসিন্দা হাইস্কুলের শিক্ষক উৎপল সরকারের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তাঁর। এরপরে বন্ধুত্ব। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক উৎপল সরকার বামনগোলা ব্লকের দহিল হাইস্কুলের শিক্ষক।
মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই শিক্ষক তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছেন। এর পর বিয়ের কথা বলতেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তিনি। সামনিসামনি হলে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই শিক্ষক।
এর পরই ‘স্ত্রীর মর্যাদা’র দাবি জানিয়ে সোমবার সকাল থেকে প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই শিক্ষকের পরিবার এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন। তার মধ্য়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাজোল থানার পুলিশ। যদিও এব্যাপারে গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরে শিক্ষক উৎপল সরকারের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ দায়েরও করেছেন সিভিক ভলান্টিয়ার।
আরও পড়ুন: TMC: ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত, দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে আটকে রাখলেন তৃণমূলীরা